চণ্ডীগড় ভাইরাল ভিডিও কাণ্ডে এবার তৎপর পাঞ্জাব সরকার। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি গুজব ছড়ানো বন্ধ করার বিষয়ে সাধারণ মানুষকে অনুরোধও করেন। এই গোটা বিষয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান বলেন, “যেই দোষী হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে”। পাশাপাশি, এই পুরো বিষয়টির উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসএসপি মোহালি বিবেক শীল সোনি বলেন যে “এই পুরো ঘটনায় এফআইআর দায়ের করার পরে এক পড়ুয়াকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে”।
শনিবার রাতে গার্লস হোস্টেলের ৬০ পড়ুয়ার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে। অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্লস হোস্টেলে থাকা ৬০ জন ছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ঘটনা সামনে আসতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা। তাদের মধ্যে ৮ জন আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলেও জানান ছাত্রীরা। সকলেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে পড়ুয়াদের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে এই ঘটনায় কেউ আত্মহত্যার কোন চেষ্টা করেননি এবং কোন পড়ুয়াই হাসপাতালে ভর্তি হন নি।
আরও পড়ুন: < বাঁশেই বাজিমাত! শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় কলকাতার ট্রাম পাড়ি দিল মার্কিন মুলুকে >
একই সঙ্গে চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, “ছাত্রীদের আপত্তিকর ভিডিও শুট এবং ভাইরাল হওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কোন পড়ুয়ার কোনও আপত্তিকর ভিডিও পাওয়া যায়নি। এক ছাত্রী তার প্রেমিকের সঙ্গে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন মাত্র। এমনটাই জানান হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।
অন্যদিকে চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা বলে ছাত্রীদের অভিযোগ। এই ঘটনায় জড়িত এক ছাত্রীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অভিযুক্ত ছাত্রী স্বীকার করেছে যে সে একটি ভিডিও তৈরি করে সিমলায় তার পরিচিত একজনকে সেই ভিডিও পাঠায়। এরপরই ভাইরাল হয়ে যায় সেই আপত্তিকর ভিডিও। এই ঘটনায় ছাত্রীরা হাতে মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে বিক্ষোভে সামিল হন।
ছাত্রীদের অভিযোগ তাদের ওপর নির্বিচারে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। ছাত্রীরা জানায়, তারা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।