সুনামি বিপর্যয় এখনও কাটেনি। এর মধ্যেই বুধবার ঘুম ভাঙল মধ্য ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরির। বাতাসে ছড়াতে পারে আগ্নেয়গিরির ছাই, সমতলের বাসিন্দাদের সে ব্যাপারে সাবধান করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকাল থেকেই উত্তর সুলাওয়েসি অঞ্চলে বাতাসে প্রায় ছ'হাজার মিটার জুড়ে ছাই ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এখনও পর্যন্ত ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের সরিয়ে আনার ব্যাপারে কোনো নির্দেশ দেয়নি সরকার।
ইন্দোনেশিয়ার এক সরকারি আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞের মতে, রিখটার স্কেলে ৭.৫ এর মতো উচ্চ কম্পন মাত্রার ভূমিকম্পের জেরে অগ্ন্যুৎপাত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু সুনামির সঙ্গে অগ্ন্যুৎপাতের সরাসরি কোনো সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে গত অগাস্ট মাস থেকেই একটু একটু করে ঘুম ভাঙছে সপুটান আগ্নেয়গিরির।
আরও পড়ুন, শেষ বিমানের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করে ভূমিকম্পে মৃত ইন্দোনেশিয়ার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার
চারদিনের ব্যবধানে দুবার ভূমিকম্পের কবলে পড়ল ইন্দোনেশিয়া। মঙ্গলবার সকালে ফের ইন্দোনেশিয়ার সুম্বা দ্বীপে কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৯। প্রথম কম্পনের মিনিট ১৫ পরেই ফের কেঁপে ওঠে সুম্বা। দ্বিতীয় কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.০। তবে এই দুই কম্পনের ফলে আপাতত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে ভূকম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৫। কম্পনের রেশ কাটতে না কাটতেই সুনামি আছড়ে পড়ে সুলাওয়েসি দ্বীপের পালু শহরে। প্রায় ২০ ফুট উচ্চতায় পৌঁছায় সুনামির ঢেউ। এতে ব্যপকভাবে বিপর্যস্ত হয় সুলাওয়েসি দ্বীপের পালু শহর। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। সম্প্রতি পাওয়া খবর অনুযায়ী ৮৪৪ থেকে বেড়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,২৩৪।
ইন্দোনেশিয়ার আরেক ভূতাত্ত্বিক নাজলি ইসমাইল অগ্ন্যুৎপাত প্রসঙ্গে বলেছেন, "ভূমিকম্প বা সুনামির পর 'বাটারফ্লাই এফেক্ট'-এর কারণে বড় কোনো বিপর্যয় আসতেই পারে। তবে এ ক্ষেত্রে সুনামির সঙ্গে আগ্নেয়গিরির জেগে ওঠার মধ্যে সরাসরি কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি না, সে সম্পর্কে সুনিশ্চিত হওয়ার জন্য তদন্ত প্রয়োজন।"