আর মাত্র ক’মাসের অপেক্ষা, তারপর বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। যে ভোটযুদ্ধে লড়তে রীতিমতো তৈরি হচ্ছে শাসক থেকে বিরোধী শিবির। উনিশের লোকসভা ভোট যে এবার দেশের নির্বাচনের ইতিহাসে আলাদা করে জায়গা করে নেবে তা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট দেখলেই টের পাওয়া যাবে। এবার তাই লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে নির্বাচনী প্রক্রিয়া ঢেলে সাজাতে মরিয়া নিবার্চন কমিশন। এবারের লোকসভা ভোটে কমিশন ১০ শতাংশ অতিরিক্ত ভিভিপ্যাটের বন্দোবস্ত করছে।
গত ২০ জুন, অতিরিক্ত ১.৩ লক্ষ ভিভিপ্যাটের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। যার জন্য প্রায় ২৫০.১৬ কোটি টাকা গুণতে হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। ইতিমধ্যেই, কমিশনের হাতে ২৫ শতাংশ মতো ভিভিপ্যাট রয়েছে। নতুন ভিভিপ্যাট অর্ডার দেওয়ায় সেই সংখ্যা বেড়ে হবে ৩৫ শতাংশ। লোকসভা ভোটের জন্য ১৬.১৫ লক্ষ ভিভিপ্যাট মেশিনের জন্য ডেডলাইন ছিল চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস। এই সময়সীমার মধ্যেই ওই সংখ্যক ভিভিপ্যাট মেশিন আনা হবে বলে সুপ্রিম কোর্টের কাছে অঙ্গীকার করেছিল কমিশন। যে খবর গত ২৫ জুলাই প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিভিপ্যাট মেশিনগুলির ডেলিভারির জন্য সময়সীমা নভেম্বর মাসের শেষের দিকে ধার্য করা হয়েছে।
গত ২০ জুন, অতিরিক্ত ১.৩ লক্ষ ভিভিপ্যাট অর্ডার দেওয়া হয়। যার মধ্যে, ৭৯ হাজার ভিভিপ্যাট মেশিন তৈরি করবে বেঙ্গালুরুর ভারত ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড। বাকি সংখ্যক ভিভিপ্যাট মেশিন বানাবে হায়দরাবাদের ইলেক্ট্রনিক্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এই সংখ্যক ভিভিপ্যাট মেশিন ডেলিভারির জন্য সময় চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, ‘জওহরলাল শুয়োর, গরু খেতেন। উনি পণ্ডিত হলেন কিসে?’
কয়েক মাস আগে উত্তরপ্রদেশের কৈরানায় উপ-নির্বাচনে ২০.৮ শতাংশ ভিভিপ্যাটকে বদল করতে হয়েছিল। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রের ভাণ্ডারা-গোণ্ডিয়ায় উপ-নির্বাচনে ১৯.২২ শতাংশ ভিভিপ্যাট বদলাতে হয়েছিল কমিশনকে। ওই দুই নির্বাচনে ভিভিপ্যাটের সমস্যার জেরে পেপার ট্রায়ল মেশিনের নকশা বদলে ফেলে আরও উন্নত করা হয়েছে। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, ওই দুই কেন্দ্রে মেশিন ব্যবহার করতে অনেকেই পারেননি। যার ফলেই কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে ভিভিপ্যাট পদ্ধতি।