সোনারপুর গড়িয়ার বিদ্যুৎ সাব স্টেশনের দেওয়াল চাপা পড়ে মারা গেলেন ৩ জন। মৃতদের মধ্যে দুজন মিস্ত্রী ও একজন ঠিকাদার। বুধবার বিকালে সোনারপুরের গড়িয়া হিন্দুস্থান মোড়ের কাছে রামকৃষ্ণ নগরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে সোনারপুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। মৃতরা হলেন পিয়ালির খোলাঘাটা এলাকার বাসিন্দা মাটহার মণ্ডল (৩০), গড়িয়ার মহামায়া তলার বাসিন্দা(ঠিকাদার) মিঠুন পন্ডিত (৩৫) এবং তাঁর আত্মীয় দেবু নামের এক যুবক। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বামাচরণ সরদার, সুদাম মণ্ডল এবং উজ্বল সরদার। এঁদের সবার বাড়ি জীবনতলা থানা এলাকায়। ঠিকাদারের কাছে কাজের টাকা নিতে এসে তাঁরা এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা, আশঙ্কা করছে পুলিশ (ফোটো- ফিরোজ আহমেদ)
সকাল থেকেই বৃষ্টিতে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার সাব স্টেশনের পাঁচিল দুর্বল হয়ে পড়েছিল। বিকালের দিকে বৃষ্টি হওয়ার পর সেই পাঁচিলের একাংশই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে।
পুলিস সূত্রে জানা গেছে, গড়িয়া হিন্দুস্থান মোড়ের কাছে রাজ্য বিদুৎ বণ্টন সংস্থার একটি সাব স্টেশন রয়েছে। গড়িয়া ও রাজপুর এলাকার মানুষের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে এই সাব স্টেশন। বৃষ্টিতে ওই সাব স্টেশনের সীমানার পাঁচিলের একটি অংশ কমজোরি হয়ে পড়েছিল।
আরও পড়ুন, দুর্বল হচ্ছে নদীবাঁধ, বানভাসির আশঙ্কা সুন্দরবনে
দুর্ঘটনার পর এলাকার মানুষ এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। তাঁরা ভাঙা পাঁচিলের নীচে থেকে ৬ জনকে উদ্ধার করতে পারলেও তাদের মধ্যে ৩ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সুকুমার নামের এক ঠিকাদার জানিয়েছেন, ওই পাঁচিলের ধারেই ঠিকাদার মিঠুনের ঘর। সেখানেই টাকা নিতে এসেছিলেন শ্রমিকরা। ওই পাঁচিলের পাশে দাঁড়িয়েই ঠিকাদার মিঠুন শ্রমিকদের টাকা দিচ্ছিলেন। সে সময়েই পাঁচিলটি ভেঙে পড়ে। কিছুদিন আগে পাঁচিলের ধার থেকে মাটিও কাটা হয়েছিল। তার জেরেও দুর্বল হয়ে গিয়েছিল পাঁচিলের ভিত। এর ওপর টানা বৃষ্টির ফলে ওই পাঁচিলটি ভেঙে পড়ে।
এলাকার বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম জানান, মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় মৃত ও আহতদের পরিবারের পাশে থাকবেন তিনি।