Advertisment

পরপর গণহত্যা, শনি-রবি মিলিয়ে রক্তাক্ত হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

ভারতীয় সময় শনিবার গভীর রাত এবং রবিবার সকাল মিলিয়ে রক্তস্নান করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নেপথ্যে ফের সেই কুখ্যাত মার্কিন 'গান কালচার'।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
el paso dayton shooting

ডোনাল্ড ট্রাম্প, সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রনেতা কিম জং ইল। ছবি: ট্রাম্পের টুইটার পেজ থেকে

কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দুবার বন্দুকধারীর এলোপাথাড়ি গুলিতে গণহত্যা। দুটি বড় শহরে। ভারতীয় সময় শনিবার গভীর রাতে রক্তস্নান করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নেপথ্যে ফের সেই কুখ্যাত মার্কিন 'গান কালচার'। দুটি ঘটনা মিলিয়ে নিহতের প্রাথমিক সংখ্যা অন্তত ২৯। গণহত্যার প্রথম ঘটনাটি ঘটে টেক্সাস রাজ্যে এল পাসো শহরের একটি ওয়ালমার্ট বিপণিতে, যেখানে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওহায়ো রাজ্যের ডেটন শহরে আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়, আহত হয়েছেন অন্তত ১৬ জন।

Advertisment

এল পাসোর আততায়ী ২১ বছরের যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওদিকে ডেটনের বন্দুকধারী ডেটন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, মাত্র ছ'দিন আগেই উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার এক ফুড ফেস্টিভ্যালে এক কিশোর বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন তিনজন।


ভারতীয় সময় রবিবার ভোররাতে এল পাসোর একটি ওয়ালমার্টের দোকানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ২০ জনের, আহত হন অন্তত ২৫ জন। শহরের ইস্ট সাইড এলাকার সিয়েলো ভিস্টা মলে বহুক্ষণ ধরে দেখা যায় বারুদের ধোঁয়া, শোনা যায় গুলির শব্দ।

এদিকে ডেটন পুলিশ টুইট করে জানায় যে শহরের ওরেগন ডিস্ট্রিক্ট এলাকায় স্থানীয় সময় রাত একটা নাগাদ গুলি চালানো শুরু হয়, কিন্তু কাছাকাছি থাকা কিছু পুলিশ অফিসার "দ্রুত থামিয়ে দেন" ঘটনার গতি। টুইটারে ডেটন পুলিশ আরও জানিয়েছে, "আততায়ী নিহত। নিহত আরও নয়জন। আহত অবস্থায় নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অন্তত ১৬ জন।" ঘটনার তদন্তে সাহায্য করছে এফবিআই।

এল পাসোর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে টুইট করেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখনও ডেটনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে নি। "এল পাসোয় আজকের শুটিং শুধু মর্মান্তিক নয়, ভীরুতার পরিচয়ও বটে," টুইটে লেখেন ট্রাম্প। "আমি দেশবাসীর পাশে দাঁড়িয়ে আজকের এই জঘন্য ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। কোনও কারণে বা অজুহাতেই নিরপরাধীদের হত্যা মেনে নেওয়া যায় না।"

এল পাসোর আততায়ী টেক্সাসের রাজধানী ড্যালাসের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার প্রকাশিত একটি ইশতেহার থেকে কর্তৃপক্ষের ধারণা করছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র 'হিসপ্যানিক' (স্প্যানিশ বংশোদ্ভূত) সম্প্রদায়ের হাতে চলে যাবে বলে আশঙ্কা ছিল তার। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, মার্কিন মুলুকে বর্তমানে অনুপ্রবেশকারীদের ঘিরে যে বিতর্ক চলছে, তার কেন্দ্রে রয়েছেন মেক্সিকো থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসা মানুষজন। এল পাসো শহরে বহু সংখ্যায় বাস করেন তাঁরা।

Donald Trump
Advertisment