তৃতীয় দফার ভোট আবহে বীরভূমের দুবরাজপুরে বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা। পুকুরপার থেকে সেই দেহ উদ্ধারে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে দুবরাজপুর থানার ওসি-সহ আহত দুই। পুলিশের গাড়ি ঘিরে চলেছে বিক্ষোভ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি। বিক্ষোভের মুখে পড়ে সাময়িকভাবে এলাকা ছাড়ে পুলিশ। পরে বিশাল বাহিনী এসে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি আয়ত্বে আনে পুলিশ-সহ কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিজেপির দাবি, মৃত যুবক তাঁদের সমর্থক। তাঁর মৃত্যুর পিছনে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষভ দেখাতে শুরু করে তাঁরা।
এদিকে, আরামবাগ বিধানসভা আসনে তৃতীয় দফা ভোটের শুরুতেই অশান্তির চিত্র সামনে আসে। বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর স্ত্রী সুজাতা মন্ডলকে বাঁশ নিয়ে তাড়া করে একদল দুষ্কৃতী। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে মাটিতে বসেই প্রতিবাদ শুরু করেন এই তৃণমূল প্রার্থী।
সুজাতা বলেন, “আমার দলের কর্মীরা জানিয়েছেন যে মহিলা ভোটারদের ভয় দেখিয়ে, কাপড় খুলে নিয়েছে, অনেককে বলেছে তৃণমূলকে ভোট দিলে ধর্ষণ করে খুন করে দেব। এসব বিজেপির দুষ্কৃতীরা করছে। আমি মহিলা হিসেবে এখানেই আসতেই আমার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাকে প্রাণে মারার চেষ্টা করছে বিজেপি। ক্ষমতা থাকলে হারিয়ে দেখাক। আজ চ্যালেঞ্জ নিলাম কেন্দ্র থেকে উৎখাত করে ছাড়ব।” এদিন মাঠে নেত্রীকে দৌড়তেও দেখা যায়। পিছনে বাঁশ নিয়ে তাড়া করতে দেখা যায় বেশ কয়েকজনকে।
অন্যদিকে, বিজেপির অভিযোগ তাঁদের উপর হামলা করা হয়। বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছ। সুজাতা মন্ডল মিথ্যা কথা বলছে। বিজেপি বলে এলাকায় শান্তিপূর্ণ ভোট চলছে।
প্রসঙ্গত, এদিন সকাল থেকেই ‘ভোটচুরির’ অভিযোগ করেছিলেন সুজাতা মন্ডল। আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মন্ডল বলেন যে যেখানে আমরা শক্তিশালী সেখানে ভোট করতে দেওয়া হচ্ছে না। ৪৫ নম্বর বুথে তৃণমূলে ভোট দিলে তা বিজেপিতে চলে যাচ্ছে। একাধিক জায়গায় আমাদের কর্মীদের মারধোর করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের বলছে বিজেপিকে ভোট দিতে।