মাঘ মাসের শেষবেলাতেও শীতের ব্যাটিং জারি। ঝোড়ো ইনিংস বললেও ভুল হয় না বইকী! লেপ-কম্বল, সোয়েটার, চাদর কিন্তু কিন্তু করেও আর আলমারিতে উঠতে চাইছে না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়লেও সূর্যাস্ত হওয়ার পর থেকে শুরু করে ভোরের দিকে এখনও শিরশিরে ঠান্ডাভাব রয়েছে। আর এর মাঝেই ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস বিগত '৬২ বছরে দেশের উষ্ণতম জানুয়ারি'র তকম পেল।
ফেব্রুয়ারির সকালেও মালুম হচ্ছে ঠান্ডা। শীতে জুবুথুবু হলেও, গত ৬২ বছরে তুলনায় তা নাকি কিছুই নয়, এমনটাই দাবি ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের। দীর্ঘমেয়াদি হলেও শীত নাকি এবছর সবথেকে কম পড়েছে। শীতের দাপট অনেকাংশেই কম। গত ৬২ বছর ধরে প্রত্যেক জানুয়ারিতে গড় যে তাপমাত্রা ছিল, এবছর নাকি তার থেকে তাপমাত্রা খানিক বেশি। ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, "২০২১ সালের জানুয়ারি ৬২ বছর পর উষ্ণতম। ১৯৫৮ সালের পর এই প্রথম।"
প্রসঙ্গত, দেশের মধ্যে দক্ষিণ ভারতে নাকি এই জানুয়ারি মাসই ছিল ১২১ বছরের মধ্যে উষ্ণতম। ২০২১ সালে জানুয়ারিতে দক্ষিণ ভারত জুড়ে তাপমাত্রা ২২.৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯১৯ সালে তা ছিল ২২.১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, এই সময়ে মধ্য ভারতেও তাপমাত্রা ছিল উর্দ্ধমুখী। ৩৮ বছর পর তা আবার উষ্ণতম। বিগত বেশ কয়েক বছরের তুলনায় জানুয়ারি বেশি উষ্ণ থাকলেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে ছিলই বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।
প্রসঙ্গত, শেষবেলতেও দাপুটে ইনিংস খেলে চলেছে শীত। আজ মঙ্গলবারও রাজ্যজুড়ে জাঁকিয়ে শীত। তাপমাত্রার পারদ নেমেছে আরও ২ ডিগ্রি। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা একধাক্কায় নেমে দাঁড়িয়েছে ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বৃহস্পতিবার থেকেই তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে উষ্ণতম জানুয়ারির তকমা পেলেও শীত বিদায়ের পূর্বাভাস কিন্তু এখনও পাওয়া যায়নি।