এখনও করোনা আক্রমণে শীর্ষস্থানে মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট। ক্রমশই সেখানে উর্ধ্বমুখী করোনা থাবা। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ইতিমধ্যেই সেখানে শুরু হয়ে গিয়েছে র্যাপিড টেস্ট। কিন্তু এবার চিন্তা বাড়াচ্ছে দেশের অন্য তিন রাজ্য।
শুধু সংখ্যার দিক থেকে দেখলে স্পষ্ট বোঝা যাবে না যে এখন করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি ছড়াচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ-বিহার-ঝাড়খন্ডে। বুধবার সন্ধে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ থেকে মাত্র ৬৯৬টি সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে, কিন্তু দ্বিগুণত্বের হার এবং একজন থেকে অন্যে সংক্রমণের হার – এ দুইয়ের বিবেচনায়, যে সব রাজ্যে সংক্রমণ হার মোটামুটি বেশি, তাদের মধ্যে শীর্ষে। বুধবার সন্ধ্যে অবধি ভারতে যতজন আক্রান্ত হয়েছেন তার ৪ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছে পূর্বের রাজ্যগুলিতে।
একইভাবে পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে একজন সংক্রমিত থেকে অন্যে সংক্রমণের হার ১.৫২, যেখানে জাতীয় গড় ১.২৯। অর্থাৎ এ রাজ্যে ১০০ জন সংক্রমিত থেকে ১৫২ জন সংক্রমিত হচ্ছেন। ঝাড়খণ্ড ও বিহারে এই হার অপেক্ষাকৃত বেশি হলেও, সেখানে পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় মোট সংক্রমিতের পরিমাণ কম।মহারাষ্ট্র, গুজরাট তো বটেই, একইসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি ও মধ্যপ্রদেশ থেকে সর্বাধিক সংক্রমিতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বুধবার সন্ধে পর্যন্ত ভারতে সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩৩ হাজার। এর মধ্যে ৮০০০-এর কিছু কম সুস্থ হয়েছেন, অর্থাৎ সক্রিয় সংক্রমিত ২৫ হাজারের মত। সক্রিয় সংক্রমিত বলতে বোঝায় যাঁরা বর্তমানে সংক্রমিত এবং যাঁরা অন্যের মধ্যে সংক্রমণ ঘটাতে পারেন।
পশ্চিমবঙ্গে ২০ থেকে ২৭ এপ্রিলের মধ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রায় ৯৩ শতাংশ, দৈনিক বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশের বেশি। মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে এই পর্যায়ে এই হার ৮৫ ও ৯৩ শতাংশ যথাক্রমে। লকডাউনের ফলে মোট ১২টি সংক্রমণের দিক থেকে শীর্ষ রাজ্যে দ্বিগুণত্বের হার বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বাকি ১২ টি এরকম রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের নিচে নেমেছে।
আইএমএসসির সিতাভ্র সিনহা বলেন, "এখনও অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় সেই হারে আক্রান্তের বৃদ্ধি দেখা না গেলেও এটা তাঁদের মাথায় রাখতে হবে পরিসংখ্যান কিন্তু অন্য কথা বলছে। মার্চের শেষে পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কিছুটা স্থিতি আসলেও এখন কিন্তু কার্ভে পরিবর্তন এসেছে। দেখা যাচ্ছে মহারাষ্ট্রে যেভাবে সংক্রমিত হয়েছিল সেদিকেই এগোচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন