সীতাপুরে নথিভূক্ত মামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবার পাঁচ দিনের জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবের। এর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ফের ওয়ারেন্ট জারি হল তাঁর বিরুদ্ধে। লখিমপুর খেরির পুলিশ জুবেরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মহম্মদী থানায় গোষ্ঠী সংঘর্ষে প্রোরচনার অভিযোগে জুবেরে বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে।
লখিমপুর খেরি আদালত জুবায়েরকে ১১ জুলাই হাজির হওয়ার জন্য তলব করেছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে আদালতের নির্দেশে লখিমপুর খেরি মামলা দায়ের করা হয়। শুক্রবার, লখিমপুর খেরি পুলিশ একটি স্থানীয় আদালতে মামার ভিত্তিতে জুবেরের বিরুদ্ধে একটি ওয়ারেন্ট পায়। যা পুলিশের তরফে সীতাপুর জেলা কারাগারে দেওয়া হয়েছে। সীতাপুর কারাগারেই বন্ধি ছিলেন অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
লখিমপুর খেরির পুলিশ সুপার সঞ্জীব সুমন জানিয়েছে, জুবেরকে আদালতে হাজির করার দায়িত্ব জেল কর্তৃপক্ষের।
পুলিশ জানিয়েছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্যে জুবের টুইটারে মিথ্যা খবর প্রচার করেছিলেন। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন আশিস কুমার কাটিয়ার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা দায়ের হয়। জুবেরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩-এ (দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
দুই দিন আগে, জুবায়েরকে দিল্লি থেকে সীতাপুরে আনা হয়েছিল, সীতাপুরে গত সপ্তাহে দায়ের করা একটি পৃথক মামলায় তাঁকে কারাগারে রাখা হয়েছিল। দিল্লি পুলিশ জুবেরকে সীতাপুরের স্থানীয় আদালতে হাজির করেছিল। সীতাপুর মামলায় জুবেরকে ছয় দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল।
যোগাযোগ করা হলে সীতাপুর জেল সুপার সুরেশ সিং জানান, শুক্রবার সকালে সীতাপুর পুলিশ জুবেরকে হেফাজতে নিয়েছে। তাঁর কথায়, “কয়েক ঘণ্টা পর সীতাপুর পুলিশ জুবেররকে আবার কারাগারে নিয়ে আসে। আদালতের নির্দেশে সীতাপুর মামলায় জামিন পেয়েছেন জুবের। এখনও দুটি ওয়ারেন্ট তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে। (একটি দিল্লি, অন্যটি লখিমপুর খেরির)।"
সুরেশ সিংয়ের দাবি, জুবেরকে এখন কোথায় পাঠানো হবে তা শিগগিরই সিদ্ধান্ত হবে। সুপারিনটেনডেন্ট বলেন, "জুবের দিল্লি এবং লখিমপুর খেরিতে দায়ের হওয়া মামলায় এখনও জামিন পাননি।"