পঞ্চাশ দিন অতিক্রান্ত লকডাউন। করোনার জেরে ধ্বস নেমেছে দেশের অর্থনীতিতে। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন সম্পূর্ণ উঠিয়ে দেওয়া উচিত কি না সে ব্যাপারে সোমবারের মোদী-মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে স্থির হল না কোনও সিদ্ধান্ত। তবে বেশ কিছু রাজ্য লকডাউনে শিথিলতা চাইলেও অনেক রাজ্য আরও কঠোরভাবে এলাকা চিহ্নিত করার আর্জি জানিয়েছে, অনেকে আবার লকডাউন নির্দেশিকায় সংশোধন করার অনুরোধও করেছে।
পঞ্চমবারের এই প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, তেলেঙ্গানা এবং পশ্চিমবঙ্গের তরফে লকডাউন আরও বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন। ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীরা আন্তঃরাজ্য বাস, ট্রেন এবং বিমান পরিবহন চালুর কথা জানান। তবে দেশে যখন আক্রান্ত সংখ্যা উর্ধ্বমুখী তখন কেন্দ্রের এই ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত "বড় ভুল" সোমবারের বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। তিনি এও বলেন তাঁর এমন মন্তব্যকে কেন্দ্রের ভেবে দেখা উচিত কারণ তিনি প্রাক্তন রেলমন্ত্রী ছিলেন।
প্রায় ছ'ঘন্টার ম্যারাথন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের থেকে জানতে চান যে লকডাউনের পরবর্তীতে প্রত্যেকের কী পরিকল্পনা রয়েছে? মোদী বলেন, "লকডাউন তুলে নেওয়ার পর বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হয়েও রাজ্যগুলি কীভাবে কাজ করবে তার একটি ব্লু প্রিন্ট দেওয়া হোক।"
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি রাজ্যকেই তাঁদের নিজ নিজ পলিসি তৈরি করতে বলেছেন। কনটেন্টমেন্ট এলাকা এবং তার বাইরে কীভাবে ছাড় দেওয়া যেতে পারে সেই সিদ্ধান্তও নেওয়ার কথা বলেছেন। তবে রেল পরিষেবা চালুর ক্ষেত্রে তিনি পরিস্কার জানিয়ে দেন যে এখনই সম্পূর্ণভাবে ট্রেন চলাচল করবে না দেশে। ধীরে ধীরে সেই পরিষেবাকে স্বাভাবিক করা হবে। মোদী এও বলেন যে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক যতক্ষণ না পাওয়া যাবে ততক্ষণ সকলকেই সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ করতে হবে যা কোভিড লড়াইয়ে একমাত্র অস্ত্র।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন