শুক্রবার সকাল থেকেই সমাবর্তন অনুষ্ঠানের জন্য পড়ুয়ারা জড়ো হয়েছিল আম্রকুঞ্জের সামনে। প্রধানমন্ত্রীর জন্য চরম নিরাপত্তার ঘেরাটোপে নিষিদ্ধ ছিল জলের বোতলও। তবে পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও সেই জল ঠিকমতো বিলি করা হয়নি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। ফলে দুর্বিষহ গরমে বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী নাজেহাল হয়ে পড়েন। অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়েন ঘটনাস্থলেই। সূত্রের খবর, ১০ হাজার পড়ুয়ার জন্য মাত্র ৬ হাজার জলের প্যাকেটের বন্দোবস্ত করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কিছু পড়ুয়ার মতে জলের ব্যবস্থা থাকলেও তা বিলি করার জন্য প্রয়োজনীয় লোক ছিল না। যার জেরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন জুড়ে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। ঘটনার আঁচ প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য নরেন্দ্র মোদী অবধি পৌছালে তিনি ক্ষমা চেয়ে নেন ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে।
আরও পড়ুন : মোদিকে স্বাগত জানালেন মমতা, দেশের নজরে আজ বিশ্বভারতী
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে পা দেওয়া মাত্র অভিযোগ উপচে পড়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ঘিরে। তিনি জানান কিছু ছাত্রছাত্রী ইশারার মাধ্যমে তাঁকে পানীয় জলের অভাবের কথা জানায়। মোদী উচ্চস্বরে পড়ুয়াদের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেন। তারপরই এরকম পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সে বিষয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষকে নজর রাখতে বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে এদিনের সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের পাশাপাশি নজর রয়েছে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক ঘিরেও। তিস্তা জলবণ্টন ইস্যুসহ একাধিক বিষয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার কথা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তিস্তার জলবন্টন বিষয়ক আলোচনার পাশাপাশি, মোদি-হাসিনার বৈঠকের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে পারে রোহিঙ্গা শরণার্থী, সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও। তিস্তার জলবন্টন নিয়ে আলোচনায় কী সমাধান হয়, সেদিকেই এখন তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কিছুদিন আগেই জানিয়েছিলেন তিস্তা প্রসঙ্গে আলোচনার জায়গা এটা নয়।