মহারাষ্ট্রের ধর্মীয় উপাসনালয়গুলিতে লাউডস্পিকার ব্যবহার নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই এবার বড়সড় পদক্ষেপ উত্তর প্রদেশ সরকারের। বছর চারেক আগের একটি সরকারি নির্দেশিকাকে 'ঢাল' করে বুধবার বিকেল পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে ১০ হাজার ৯০০-র বেশি "অবৈধ" এবং "অনুমোদনহীন" লাউডস্পিকার সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশিরভাগ লাউডস্পিকারগুলিই রাজধানী লখনউ থেকে সরানো হয়েছে। লখনউ থেকে ২ হাজার ৩৯৫টি এবং গোরখপুর থেকে ১ হাজার ৭৮৮টি লাউডস্পিকার খুলে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও রাজ্য জুড়ে ৩৫ হাজারের বেশি লাউডস্পিকার নির্ধারিত ডেসিবেল সীমার মধ্যে আনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উত্তর প্রদেশের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (স্বরাষ্ট্র) অবনীশ কুমার অবস্থি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ''২০১৮-এর একটি সরকারি আদেশ রয়েছে। সাউন্ডের সর্বোচ্চ ডেসিবেল সীমার জন্য নিয়ম রয়েছে এবং এব্যাপারে আদালতের নির্দেশও রয়েছে। এবার দৃঢ়তার সঙ্গে ওই নির্দেশগুলি পালন করার জন্য জেলাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে তাদের কাজের রিপোর্ট ৩০ এপ্রিলের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।''
অন্যদিকে, উত্তর প্রদেশ পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার বলেন, ''১০ হাজারেরও বেশি লাউডস্পিকার সরানো হয়েছে। এখনও এই অভিযান চলছে। আমরা আলোচনার মাধ্যমেই নির্দেশিকা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। সচেতনতার মাধ্যমে প্রত্যেককে নিয়মগুলি বোঝানো হচ্ছে। অনেকে নিজেরাই অনুমোদনহীন লাউডস্পিকার সরিয়ে ফেলেছেন।''
আরও পড়ুন- এক লাফে ৩ হাজার পেরোল দেশের দৈনিক সংক্রমণ, আরও বাড়ল অ্যাক্টিভ কেস
লাউডস্পিকার সরানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশিকা কার্যকরের বিষয়ে ওই পুলিশকর্তা আরও বলেন, ''কোনও আওয়াজ বা শব্দ প্রাঙ্গনের বাইরে যাওয়া উচিত নয়, এটাই নিয়ম। ধরা যাক একটি প্রাঙ্গণে পাঁচটি লাউডস্পিকার রয়েছে, লোকজন তাঁদের স্বাভাবিক ধর্মীয় ক্রিয়াকলাপগুলিও চালিয়ে যাচ্ছেন। সেখানকার শব্দ ওই প্রাঙ্গনেই সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সেখান থেকে তিনটি পর্যন্ত লাউডস্পিকার সরানো যেতে পারে।"
এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) কুমার জানিয়েছেন, পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতেই সরকার এই অভিযান চালাচ্ছে। সরকারের তরফে এর বিরূপ প্রভাব, আদালতের নির্দেশ এবং শব্দের মাত্রা সম্পর্কে মানুষজনকে সচেতন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ''কোথাও এটা জোরপূর্বক করা হচ্ছে না। মন্দিরই হোক বা মসজিদ অথবা গুরুদ্বার, লোকজন স্বেচ্ছায় লাউডস্পিকারগুলি সরাচ্ছেন।''
Read full story in English