মঙ্গলবার কেরলের পাহাড়-ঘেঁষা ওয়ায়ানাদ জেলায় ব্যাপক ভূমিধসের ফলে কমপক্ষে ১৫৮ জন নিহত হয়েছে। চুড়ামালা গ্রামের প্রায় সব বাড়িঘর ও দোকানপাট ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে গিয়েছে।
WayanadLandslide:ওয়েনাডে ভুমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৮-এ দাঁড়িয়েছে। রাজ্যের রাজস্ব দফতর এই তথ্য জানিয়েছে। মঙ্গলবার থেকে উদ্ধার অভিযান চলছে। পুরো শহর নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, শ'য়ে শ'য়ে মানুষ আটকে পড়েছেন। উদ্ধার অভিযানে নেমেছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, এনডিআরএফ এবং পুলিশ।
Advertisment
মঙ্গলবার কেরলের পাহাড়-ঘেঁষা ওয়ায়ানাদ জেলায় ব্যাপক ভূমিধসের ফলে কমপক্ষে ১৫৮ জন নিহত হয়েছে। চুড়ামালা গ্রামের প্রায় সব বাড়িঘর ও দোকানপাট ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে গিয়েছে। গ্রাম জুড়ে হাহাকার। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে গাড়ি ও দুই চাকা।
মঙ্গলবার ভোররাতে কেরালার ওয়েনাদ জেলার মেপ্পাদি পঞ্চায়েতের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের কারণে গ্রামটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। ভোর হতে না হতেই গ্রামের চেহারা একেবারে বদলে গিয়েছে। হড়পা বান ও ভুমিধসে ভেগে গিয়েছে একটি বাগানের শ্রমিকদের কোয়ার্টার। পাশাপাশি সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বড় অংশও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। স্কুলের অধ্যক্ষ জানান, প্রায় দু ডজন ছাত্র নিখোঁজ রয়েছে।
গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভূমিধস-প্রবণ এলাকা না হওয়ায় এমন বিপর্যয় তারা কখনই আশা করেননি। মালাপ্পুরম জেলার নীলাম্বুর অঞ্চলে কয়েক কিলোমিটার দূরে গ্রামের বেশ কিছু লোক ভেসে গেছে, অনেক মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পাঁচজন আত্মীয়কে হারিয়েও বেঁচে গিয়েছেন ডলি নামের এক মহিলা। তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ যদি মুন্ডাক্কাই থেকে আরও বেশি লোককে স্থানান্তরিত করত, তাহলে প্রাণহানি এড়ানো যেত। তিনি আরও বলেন, “সোমবার সকালেই, আমার স্বামী জোস এবং আমি সুলতান বাথেরি শহরে গিয়েছিলাম। অন্যথায়, আমরাও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মারা যেতাম,” ।