All Party Meet: অকালি দল এবং কংগ্রেসের অনুপস্থিতিতেই করোনা নিয়ে সর্বদল বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার দুপুরেই এই দুটি দল ঘোষণা করেছিল, তারা এই বৈঠকে থাকবে না। যদিও করোনা মোকাবিলায় সরকারি পরিকল্পনা আলোচনা শীর্ষক এই বৈঠকে উপস্থিত ছিল তৃণমূল কংগ্রেস এবং শিবসেনার মতো বিজেপি-বিরোধী দল। এদিন বৈঠকে কোভিড মোকাবিলায় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কেন্দ্র-রাজ্যকে হাত মিলিয়ে কাজ করতে পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
তাঁর দাবি, ‘ভারত অন্য দেশের চেয়ে সংক্রমণের নিরিখে অনেক ভালো জায়গায়। জনসংখ্যার বিচারে ভারতে সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক নয়। তাও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কারণ ব্রিটেনের মতো দেশে পূর্ণশক্তি নিয়েই ফিরছে সংক্রমণ।‘
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আরও কয়েকটি সংস্থার টিকা আগামি দিনে বাজারে চলে আসবে।তাই যত দ্রুত সম্ভব টিকাকরণ চালিয়ে যেতে হবে।‘ প্রায় তিন ঘণ্টার এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব কোভিড মোকাবিলায় সরকারি প্রস্তুতি পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে তুলে ধরেন। নথিবদ্ধ করা হয় বিরোধী দলগুলোর প্রশ্ন এবং পরামর্শ। শিবসেনা এবং তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, আরও বেশি টিকা সরবারহের। এমনটাই সংসদ সূত্রে খবর।
এদিকে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় অক্সিজেন অভাবের ভয়ঙ্কর চিত্র সাড়া দেশ দেখেছে। একাধিক সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে ছাপা হয়েছিল সেই ছবি। বিরোধীদের দাবি, এই অব্যবস্থার কারণে একাধিক প্রাণহানি হয়েছে। কিন্তু অক্সিজেনের অভাবে কারও কোনও মৃত্যুর খবর কেন্দ্রের কাছে নেই। কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেণুগোপালের প্রশ্নের উত্তরে মঙ্গলবার একথা জানাল কেন্দ্র। পাশাপাশি দায় এড়িয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্বাস্থ্য রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত।
সরকারি সূত্রে সংসদে দাবি করা হয়েছে, কোভিডে মৃত্যুর বিষয়টি রাজ্য কেন্দ্রকে জানায়। কোনও রাজ্ই অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর খবর কেন্দ্রকে জানায়নি। কেন্দ্রের বক্তব্য, ‘খাতায় কলমে কোনও রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর কথা জানায়নি। তবে দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় অক্সিজেনের চাহিদা বিপুল বেড়ে গিয়েছিল।‘ একটি পরিসংখ্যানে উল্লেখ, ‘করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় অক্সিজেনের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ৩ হাজার ৯৫ মেট্রিক টন। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় সেই চাহিদা বেড়ে হয় ৯ হাজার মেট্রিক টন।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন