বিতর্কের আবহে শেষমেশ মুখ খুলল ফেসবুক। দ্য় ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্ট প্রসঙ্গে ফেসবুক ইন্ডিয়ার তরফে এদিন জানানো হয়েছে, ফেসবুক বরাবরই 'পক্ষপাতহীন প্ল্য়াটফর্ম' এবং ভারতে বিখ্য়াত ব্য়ক্তিদের পোস্ট যদি কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করে তাহলে তা সরানো হবে। উল্লেখ্য়, বিজেপির প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে ফেসবুক, এমন দাবিই করে আমেরিকার ওই সংবাদসংস্থা। এ খবর প্রকাশ্য়ে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় ভারতীয় রাজনীতিতে।
এ প্রসঙ্গে ফেসবুক ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ম্য়ানেজিং ডিরেক্টর অজিত মোহন ব্লগে লিখেছেন, ''ফেসবুক বরাবরই মুক্ত, স্বচ্ছ ও পক্ষপাতহীন প্ল্য়াটফর্ম যেখানে সকলে তাঁদের মত খোলা মনে প্রকাশ করতে পারেন। গত কয়েকদিন ধরে আমাদের পলিসি নিয়ে অভিযোগ করা হচ্ছে। আমরা এই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি এবং এটা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, আমরা ঘৃণা ও গোঁড়ামির নিন্দা করি''।
আজ দেশের বড় খবর: তেলেঙ্গানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড।। ভোটের নিয়মে বদল।। সুশান্তের রাঁধুনিকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ।। প্রণব একইরকম
প্রসঙ্গত, দ্য় ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বাণিজ্য়িক কারণে ভারতে ফেসবুকের পাবলিক পলিসি এগজিকিউটিভ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ‘হেট স্পিচ রুলস’ লাগু করেননি। আমেরিকার ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদনে এও দাবি করা হয়েছে, ভারতে ফেসবুকের পাবলিক পলিসি ডিরেক্টর আঁখি দাস বিজেপি নেতাদের বিদ্বেষমূলক পোস্টের বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নিতে কর্মীদের বারণ করেছেন। কারণ, ব্য়বস্থা নিলে এ দেশে ব্য়বসায় ধাক্কা খেতে পারে সংস্থা।
এদিকে, ভারতে ফেসবুক লিডারশিপ টিম কীভাবে কাজ চালায়, তা খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবিতে ফেসবুক সিইও মার্ক জুকারবার্গকে চিঠি লিখেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল। এর পাশাপাশি আগামী ২ সেপ্টেম্বর ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে তলব করেছে শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন তথ্য় প্রযুক্তির সংসদীয় স্ট্য়ান্ডিং কমিটি। এই প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক বিতর্ক নিয়ে যেভাবে মুখ খুলল ফেসবুক, তাতে এই পর্বে নয়া মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন