কেন্দ্র থেকে আমন্ত্রণ এলে কৃষি আইন নিয়ে আলোচনায় প্রস্তুত আন্দোলনরত কৃষকরা। কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা রাকেশ টিকাইত শনিবার বলেছেন, ’২২ জানুয়ারির পর থেকে দ্বিপাক্ষিক স্তরে কোন আলোচনা হয়নি। কৃষকদের ঘোষিত দাবির কোন পরিবর্তন হয়নি।‘
টিকাইত জানিয়েছে, সংযুক্ত কৃষক মোর্চা সরকারি তরফে আমন্ত্রণ পেলে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। এই সংযুক্ত কৃষক মোর্চার ছাতার তলায় সিঙ্ঘু, টিকরি আর গাজিপুর সীমান্তে প্রায় চার মাস ধরে অবস্থান বিক্ষোভ করছে সহস্রাধিক কৃষক।
সম্প্রতি হরিয়ানা সরকারের মন্ত্রী অনিল ভিজ, কেন্দ্রি কৃষি মন্ত্রীকে ফের আলোচনা শুরু করতে আবেদন জানিয়েছেন। দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে কৃষক আন্দোলন অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে। এই আশঙ্কা থেকে ফের সরকারি স্তরে তদ্বির শুরু হয়েছে।
কৃষক আন্দোলনে গুজরাতের যুবক ও কৃষকদের এগিয়ে আসতে আবেদন করলেন রাকেশ টিকাইত। দিল্লি সীমান্তে চলা কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ রাকেশ টিকাইত। গত সপ্তাহে রাজস্থান সীমান্ত দিয়ে সড়কপথে গুজরাত ঢোকেন এই কৃষক নেতা। গুজরাতের বাঁশকাথার পালনপুরে একটা জনসভা করেন টিকাইত। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন সে রাজ্যের কৃষকরা। সেই সভা থেকেই ভয় ঝেড়ে ফেলে কৃষক আন্দোলনে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান রাকেশ টিকাইত।
রবিবার গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শঙ্কর সিং বাঘেলা এবং আপের কর্মী-সমর্থকরা টিকাইত-সহ অন্যদের রাজস্থান-গুজরাত সীমান্তে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। তারপরেই একটি কৃষক মহাসম্মেলন করেন তিনি। টিকাইত বলেন, ‘গুজরাতের মানুষ কীভাবে আন্দোলনে যোগ দেবেন, সেটা তাঁদের ঠিক করতে হবে। যুবকদের এই আন্দোলনের শরিক হওয়া আবশ্যিক। আমাদের ভয় ঝেড়ে ফেলতে হবে। যদি কোনও প্রতিবাদ না হয়, তাহলে আমাদের জমি কেড়ে নেওয়া হবে।‘
এদিকে, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা তথা দিল্লিতে কৃষক বিক্ষোভের মুখ রাকেশ টিকায়েতের গাড়িতে হামলা। শুক্রবার রাজস্থানের আলোয়ারে কৃষক নেতার গাড়িতে হামলার ঘটনায় কাঠগড়ায় বিজেপি। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নেতা-সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায়। তাদের বিরুদ্ধে শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গিয়েছে, রাকেশ টিকায়েত এদিন আলোয়ারে একটি কিষাণ পঞ্চায়েতে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। তিনি একটি ভিডিও টুইট করেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে কীভাবে তাঁর কনভয়ের একটি গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। সেই ভিডিওতে কৃষক নেতার অনুগামীদের বলতে শোনা যাচ্ছে, এই হামলার পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে।
এদিন দুপুরে পুলিশ জানায়, টিকায়েত একটি কিষাণ পঞ্চায়েতের স্থল থেকে আরেকটি সভায় যাওয়ার পথে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। কুলদীপ রাও নামে রাজঋষি ভরথারি মৎস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নেতা-সহ কয়েক জন টিকায়েতের কনভয়কে কালো পতাকা দেখায়। তারপরই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ভিওয়াড়ির পুলিশ সুপার মূর্তি জোশী। প্রতিবাদীরা কনভয়ে কালিও ছিটিয়েছে বলে অভিযোগ।