জাতীয় বিপর্যয়ে নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারে না কোর্ট। মঙ্গলবার এক মামলার শুনানিতে এভাবেই কেন্দ্রকে তুলোধোনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে অক্সিজেন, টিকা এবং ওষুধ সরবরাহে সরকারের উদ্যোগ কী? এই সংক্রান্ত একটা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয়েছে শীর্ষ আদালতে। সেই মামলার শুনানিতে এদিন এভাবে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেছে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
সেই বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘কোনও হাইকোর্টের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করতে চায় না আদালত। বরং একজন সহযোগী হিসেবে কাজ করতে চায়।‘ এই বেঞ্চের অন্য দুই বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং এস রবীন্দ্র ভাট।
শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, ‘এই বিষয়ে মধ্যস্থতা করতে হাইকোর্টগুলো সুবিধাজনক জায়গায়া আছে। কিন্তু যেহেতু করোনা সংক্রমণ একটা জাতীয় ইস্যু, তাই এই বিপর্যয়ে আমরা চুপ করে বসে থাকতে পারি না।‘
এই মামলায় সরকার-আদালতের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আইনজীবী জয়দীপ গুপ্তা ও মীনাক্ষী অরোরাকে নিয়োগ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে, মঙ্গলবারই ২রা মে ভোটগণনার দিন বা তার পরে রাজনৈতিক দলগুলোর বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। এর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কমিশনকে কড়া নির্দেশ শোনাল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের নির্দেশ, শুধু বিজয় মিছিল বন্ধের নির্দেশ দিলেই হবে না। নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত আধিকারিককে কড়া ভাবে তা প্রয়োগ করতে হবে।
মঙ্গলবার কোভিডে প্রচার বন্ধ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানেই হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, খাতায় কলমে সার্কুলার জারি করে কোনও লাভ নেই। কমিশনের ক্ষমতা রয়েছে। আধিকারিকদের সর্ব শক্তি দিয়ে তা প্রয়োগ করতে হবে।
এদিন শুনানির শুরুতেই কমিশন আদালতে জানায়, ২ মে সমস্ত বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গণনার দিন কোনওভাবেই যাতে রাস্তায় বিজয়োল্লাস না হয় সে কারণে কমিশনের এই আগাম পদক্ষেপ। এছাড়া, ভোটে জয়ী প্রার্থীরা শংসাপত্র কমিশন দফতর থেকে নেওয়ার সময় দু’জনের বেশি থাকতে পারবেন না। গণনার সময় এজেন্ট ও প্রার্থীকে উপস্থিত তাকতে হলে তার আগে তাঁদের আরটি-পিসিআর টেস্ট করা বাধ্য়তামূলক।