উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ-সহ দেশের একাধিক রাজ্যে লাগু হয়েছে লাভ-জিহাদ (Love-Jihad) বিরোধী আইন। কিছু ক্ষেত্রে গ্রেফতারিও খবরে এসেছে। তথ্য বলছে, যে রাজ্যে রমরমিয়ে লাগু লাভ-জিহাদ বিরোধী আইন সেই রাজ্যে একক ক্ষমতায় বিজেপি ক্ষমতায়। কিন্তু হরিয়ানার ক্ষেত্রে বদলাতে চলেছে চিত্র। লাভ-জিহাদ বিরোধী আইন লাগুর ক্ষেত্রে শরিকি বাধার মুখে পড়তে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। উত্তরের এই রাজ্যে বিজেপি শাসক হলেও, শরিক হিসেবে রয়েছে জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি)। আর হরিয়ানা সরকারে যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে জেজেপি’র। সেই দলের প্রধান তথা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌতালা লাভ-জিহাদের অস্তিত্বই মানতে চাইলেন না।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি অবস্থান স্পষ্ট করে জানান, লাভ-জিহাদ শব্দে আমার বিশ্বাস নেই। কেউ স্বেচ্ছায় ধর্ম পরিবর্তন করে তাঁর ভালবাসার মানুষকে বিয়ে করলে আমাদের কোনও সমস্যা থাকার কথা নয়। তিনি সেই সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘লাভ-জিহাদ শব্দে আমার বিশ্বাস নেই। আমরা এমন আইন আনবো, যেখানে জোর করে ধর্ম পরিবর্তনকে অপরাধ বলে ধরব। কেউ স্বেচ্ছায় ভালবাসার মানুষকে বিয়ের স্বার্থে ধর্ম পরিবর্তন করলে, আমাদের আইন তাঁদের বিরক্ত করবে না।‘
সম্প্রতি দিল্লি-হরিয়ানা ও দিল্লি-উত্তর প্রদেশ সীমান্তে চলা কৃষক আন্দোলন নিয়ে একটা শরিকি দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হয়েছে হরিয়ানা সরকারে। কৃষকদের সঙ্গে মানবিক আচরণ এবং তাঁদের দাবি-দাওয়া শোনা না হলে ইস্তফার হুমকি দিয়ে রেখেছেন দুষ্মন্ত চৌতালা। তাই সরকার পতনের আশঙ্কায় শরিক জেজেপিকে সে রাজ্যে যথেষ্ট সমঝে চলছে বিজেপি। এই আবহে রাজ্যে লভ-জিহাদ বিরোধী আইন লাগু হলে জেজেপি’র শর্ত মেনেই তা প্রণয়ন করতে হবে। এমনটাই মনে করছেন হরিয়ানা বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা।
ইতিমধ্যে একদফা পুরভোটে সেই রাজ্যে হারের মুখ দেখেছে শাসক জোট। রাজ্যে বিজেপি-জেজেপি-কে বয়কটের পথে হেঁটেছে কৃষক আন্দোলনের সমর্থন করা খাপ পঞ্চায়েতগুলো।এই পরিস্থিতিতে লাভ-জিহাদ আইন নিয়ে সমঝে চলতে চাইছে জেজেপি। তাই আগেভাগেই শাসক জোটের প্রধান শরিক বিজেপিকে বার্তা দিয়ে রাখলেন দুষ্মন্ত চৌতালা। এমনটাই পর্যবেক্ষকদের ধারণা।
এদিকে সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে কৃষক আন্দোলন নিয়েও সর্ব হয়েছিলেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘ন্যূনতম সহায়ক মুল্যের পক্ষেই তাঁর অবস্থান। কৃষকদের সেই বার্তা যত তাড়াতাড়ি কেন্দ্রের পৌঁছবে, ততই মঙ্গল।‘