রবিবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দখল নিল তালিবানরা। এরপরই পদত্যাগ করেন আফগান প্রেসিডেন্ট আসরফ ঘানি। এমনকী তিনি দেশ ছেড়েও পালিয়েছেন। পরিস্থিতি ভয়াবহ। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা যাচ্ছে, নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে কাবুলের একের পর এক জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে তালিনবানরা। সব ধরণের সুরক্ষা ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস থেকেই ইসলামিক এমিরেটস অফ আফগানিস্থান সরকার গড়ার ঘোষণা করতে পারে তালিবানরা।
Advertisment
এই অবস্থায় কাবুল-সহ গোটা আফগানিস্তানে বসবাসকারী ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। নয়াদিল্লির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পরিকল্পনা মাফিক কাজ করছে সরকার। নিরাপদে ১২৯ জনকে ভারতীয় নাগরিককে কাবুল থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তালিবানরা কাবুলের দখল নেওয়ার পরই হাজার হাজার মানুষ আফগানিস্তান ছাড়ছেন। সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, কেন্দ্র গোটা ব্যাপারটা ভীষণ গুরুত্ব দিয়ে দেখেছে।
সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, কাবুলে কোনও ভারতীয় বিশেষ করে দূতাবাসে কর্মরত আধিকারিকের জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছে না সরকার। সবাইকে নিরাপদে দেশে ফেরানো হচ্ছে।
কাবুল থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, তালিবান যোদ্ধারা রাজধানী দখল করে ফেলেছে। কাবুলের সমস্ত সরকারি ভবনের উপর নিজেদের নিশান উড়িয়ে দিয়ে আধিপত্যের জানান দিয়েছে। এরপরই সেখানে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে। আমেরিকা, জার্মানি, ব্রিটেন, কানাডা তাদের রাষ্ট্রদূতদের দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে। ন্যাটো জানিয়েছে, সব ধরণের অসামরিক উড়ান বাতিল করা হয়েছে। তবে সামরিক বিমান ওঠা-নামা করছে।
প্রসঙ্গত, গত আট সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে কট্টরপন্থী এই তালিবানি জঙ্গিরা আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফ, লোগার প্রদেশ, কান্দাহার, হেরাত সহ আফগানিস্তানের প্রধান শহরগুলি-সহ দখলে নিয়েছে৷ কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শহরগুলির দখল নিতে সক্ষম হয়েছে তালিবান৷ শনিবার তালিবানি জঙ্গিরা মাজার-ই-শরিফে ঢোকার পরেই সেখান থেকে পালিয়ে যায় আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী৷ প্রতিবেশী দেশ উজবেকিস্তানে পালিয়ে যায় আফগান সেনা। তালিবানি হানায় চরম বিপদে আফগানিস্তানের আম নাগরিকরা৷
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন