''দেশের জনগণকে ঔপনিবেশিক মানসিকতা ছাড়তে হবে। নিজস্ব পরিচয়ে গর্ব করতে শিখতে হবে।'' আহ্বান উপ-রাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুর। স্বাধীনতার ৭৫তম বছরে শিক্ষার ম্যাকোলে পদ্ধতিটিকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যানের আহ্বান উপ-রাষ্ট্রপতির। এই পদ্ধতিতে দেওয়া শিক্ষার মাধ্যমে একটি বিদেশি ভাষা ভারতীয়দের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে মনে করেন উপ-রাষ্ট্রপতি। এই পদ্ধতি শিক্ষাকে অভিজাতদের মধ্যে সীমাবদ্ধ করেছিলও বলেও মনে করেন ভেঙ্কাইয়া নাইডু।
''কয়েক শতাব্দীর ঔপনিবেশিক শাসন আমাদের নিজেদেরকে নিকৃষ্ট জাতি হিসেবে দেখতে শিখিয়েছে। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্যগত জ্ঞানকে তুচ্ছ করতে শেখানো হয়েছিল। এটি একটি জাতি হিসেবে আমাদের বৃদ্ধিকে থমকে দিয়েছে। আমাদের শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে একটি বিদেশি ভাষা চাপিয়ে দেওয়া হয়। শিক্ষাকে সমাজের একটি ছোট অংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। একটি বিশাল জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল।''
শনিবার দেব সংস্কৃতি বিশ্ব বিদ্যালয়ে সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পিস অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন উদ্বোধনের পর সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় একথা বলেছেন উপ-রাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু।
আরও পড়ুন- আরও কমল সংক্রমণ, করোনা অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা কমে ৬ শতাংশে
এদিন তিনি আরও বলেন, ''আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের পূর্ব পুরুষদের নিয়ে গর্ব বোধ করা উচিত। আমাদের শিকড়ে ফিরে যেতে হবে। অবশ্যই আমাদের ঔপনিবেশিক মানসিকতা ত্যাগ করতে হবে। আমাদের সন্তানদের তাঁদের ভারতীয় পরিচয়ে গর্ব করতে শেখাতে হবে। আমাদের যতটা সম্ভব ভারতীয় ভাষা শিখতে হবে। মাতৃভাষাকে ভালোবাসতে হবে। আমাদের ধর্মগ্রন্থগুলি জানার জন্য আমাদের অবশ্যই সংস্কৃত শিখতে হবে, যা জ্ঞানের ভাণ্ডার।''
দেশের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে মাতৃভাষার প্রচারে উৎসাহ দিয়ে তিনি এদিন আরও বলেন, ''আমি সেই দিনের অপেক্ষায় রয়েছি, যেদিন রাজ্যগুলি নিজেদের মাতৃভাষায় সমস্ত গ্যাজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। আপনার মাতৃভাষা আপনার দৃষ্টিশক্তির মতো। যেখানে আপনার বিদেশি ভাষার জ্ঞান আপনার চশমার মতো। শিক্ষা ব্যবস্থার ভারতীয়করণ দেশের নতুন শিক্ষা নীতির কেন্দ্রবিন্দু। যা মাতৃভাষার প্রচারের উপর ব্যাপক জোর দেয়।''
Read story in English