'সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সজাগ-ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে', বাংলাদেশকে বার্তা মোদীর
মুক্তিযোদ্ধাদের উপর পাক বাহিনীর অত্যাচার, শেখ মুজিবর রহমানের লড়াইয়ের কথা স্মরণ করিয়ে সন্ত্রাসবাদ মদতে ঠারেঠুরে এদিন ইসলামাবাদের মদতের কথা স্মরণ করিয়ে দেন মোদী।
মুজিব শতবর্ষে ঢাকায় দাঁড়িয়ে ৫০ বছর আগের পাক বাহিনীর অত্যাচারের কথা তুললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। স্মরণ করিয়ে দিলেন পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের লড়াইয়ের কথা। এখানেই থামেননি তিনি। উল্টে সেই অত্যাচারের সঙ্গে আজকের পাক সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ মিশিয়েছেন তিনি। ঢাকায় দাঁড়িয়ে মোদী বলেছেন, 'আমরা দুই দেশ গণতন্ত্রের শক্তিতে বলীয়ান। সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় আমাদের আরও সজাগ এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। একসঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাব আমরা।'
Advertisment
স্বাধীন প্রজতন্ত্রী বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের কথা বলতে গিয়ে বারে বারেই এদিন প্রধানমন্ত্রী স্মৃতির স্মরণীতে ডুব দিয়েছেন। প্রতিবেশীর স্বাধীনতায় নিজের লড়াইয়ের কথা তুলে ধরেন তিনি। মোদী বলেন, 'পরাধীন বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য আমিও লড়াই করেছিলাম। সত্যাগ্রহ করে জেলে গিয়েছিলাম । সবাই একসঙ্গে সেইসময় মুক্তিবাহিনী গঠন করে লড়াই করেছেন।'
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে এদিন 'গান্ধী শান্তি পুরস্কারে' ভূষিত করা হয়। এই সম্মান প্রদানকে প্রত্যেক ভারতবাসীর গর্বের বিষয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
একইসঙ্গে, মোদী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর কথাও স্মরণ করেন। বলেন, 'বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রচেষ্টা সর্বজন বিদিত। সেই সময় অটল বিহারী বাজপেয়ী বলেছিলেন, আমরা ইতিহাস তৈরি করতে চলেছি।'
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'করোনাকালেও ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বোঝাপড়া খুব ভাল ছিল। ভারতীয় ভ্যাকসিন বাংলাদেশের ভাইবোনেদের দিতে পেরে আমি আনন্দিত।'
করোনা আবহেও বাংলাদেশে মুজিব শতবর্ষ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সেদেশের প্রধানমন্ত্রী তথা মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন