পশ্চিমী দেশগুলো মোটেই ‘খারাপ’ নয়। একটি সাক্ষাৎকারে আমেরিকা-সহ অন্যান্য পশ্চিমি দুনিয়ার দেশগুলোকে বিরাট সার্টিফিকেট দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর । তাঁর মতে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর উচিত পশ্চিমী দুনিয়ার প্রতি নেতিবাচক মনোভাব ঝেড়ে ফেলা। কারণ পশ্চিমী দেশগুলো এশিয়া বা আফ্রিকার বাজারে ঢালাও পণ্যের জোগান দেয় না। চিনকে কটাক্ষ করেই এমন মন্তব্য করেছেন বিদেশমন্ত্রী। তবে জয়শংকর সাফ জানিয়েছেন, পশ্চিমী দুনিয়ার সপক্ষে মোটেই কথা বলছেন না তিনি।
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আবারও চিনকে নিশানা করেছেন। জয়শঙ্কর বলেন, যে পশ্চিমী দেশগুলি 'খারাপ' নয় কারণ তারা বেপরোয়াভাবে এশিয়ান বা আফ্রিকান দেশগুলির বাজারে তাদের পণ্য সরবরাহ করছে না। তিনি বলেছিলেন যে আমাদের পশ্চিমী দেশগুলির প্রতি এই নেতিবাচক মনোভাব ঝেড়ে ফেলতে হবে।
রবিবার কেরালায় পৌঁছেছেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। তিনি রাজ্যের রাজধানী তিরুবনন্তপুরমে 'প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা' প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ সময় তিনি একটি নিউজ চ্যানেল দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আফ্রিকা ও এশিয়ার বাজারে চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, চিন আফ্রিকা ও এশিয়ার বাজারে বিপুল পরিমাণে পণ্য পাঠাচ্ছে, যার কারণে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
জয়শঙ্কর বলেন, 'এমন কোন পশ্চিমী দেশ নেই যারা এশিয়া ও আফ্রিকার বাজারে বড় আকারে পণ্য সরবরাহ করে। আমি মনে করি আমাদের অতীতের ধারণা কাটিয়ে উঠতে হবে যে পশ্চিমী দেশগুলি 'খারাপ' এবং প্রাক্তন ভারতীয় কূটনীতিক টিপি শ্রীনিবাসনকে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে জয়শঙ্কর চিনের নাম না করে আক্রমণ করেন।
তিনি বলেন, 'আজ দরকার দৃঢ় বিশ্বাস। গত ১৫-২০ বছরে বিশ্বায়নের কারণে বৈষম্য দেখা গেছে, কারণ অনেক দেশ দেখেছে যে তাদের পণ্য, উত্পাদন এবং কর্মসংস্থান প্রচণ্ড চাপের মধ্যে পড়েছে। এর কারণ তাদের বাজারে সস্তায় পণ্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। চিনের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক নীতিকেই কটাক্ষ করে জয়শঙ্করের এই বক্তব্য বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।