দিন কয়েক আগেই বিচার ব্যবস্থায় সরকারি হস্তক্ষেপ নিয়ে 'লক্ষ্মণরেখা' স্মরণ করিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা। এ দিন সুপ্রিম কোর্টে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে স্থগিতাদেশ জারি করতেই সেই 'লক্ষ্ণণরেখা'র কথাই শোনা গেল কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর মুখে। তিনি বলেন, 'আদালত এবং তার স্বাধীনতাকে সম্মান করার সময় একটা লক্ষ্মণ রেখা আছে যা অতিক্রম করা যায় না।'
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রিজিজু বলেছেন যে, 'আমরা আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট করেছি এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য সম্পর্কে আদালতকে জানিয়েছি। এর বাইরেও যদি কিছু ঘটে, তবে আমি জানি না। তবে একটি জিনিস আমাকে অবশ্যই বলতে হবে যে, আমরা আদালত এবং আদালতের স্বাধীনতাকে সম্মান করি, তবে তার একটি লক্ষ্মণ রেখা রয়েছে।'
রিজিজুর কথায়, 'সমস্ত অঙ্গকে অবশ্যই একে অপরকে সম্মান করতে হবে এবং আমরা যা বলি এবং যাই করি না কেন তা নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা ভারতের বিধান এবং সংবিধান ও সমস্ত বিদ্যমান আইনকে সম্মান করি।'
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, কেন্দ্র পুনর্বিবেচনা না করা পর্যন্ত রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে নতুন কোনও মামলা হবে না। যতদিন না কেন্দ্র ১২৪-এ ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহ আইন পুনর্বিবেচনা না করছে ততদিন পর্যন্ত এই ধারায় কোনও মামলা করা যাবে না। শীর্ষ আদালত কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে এই ধারায় কোনও এফআইআর, তদন্ত বা কড়া পদক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকতে বলেছে।
কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়ে দিয়েছে যে বিধান স্থগিত করা সঠিক পদ্ধতি হতে পারে না। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা, কেন্দ্রের তরফে আদালতে জানান, 'কোনও গণ্যযোগ্য অপরাধ নিবন্ধিত হওয়া থেকে আটকানো যায় না, আইন স্থগিত রাখা সঠিক পদ্ধতি নাও হতে পারে। তাই যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা থাকতে হবে এবং তার সন্তুষ্টি বিষয় বিচারিক পর্যালোচনা সাপেক্ষ।'
Read in English