/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/04/anubrata.jpg)
অসুস্থ অনুব্রত মণ্ডল
অষ্টম দফার ভোটে অন্যতম হাইভোল্টেজ জেলা বীরভূম। আর বঙ্গ ভোটের শেষ দফায় বীরভূমকে পাখির চোখ করেছে কমিশন। তাই ২০১৬-র মতো এবারেও কমিশনের নির্দেশে ফের এক বার নজরবন্দি জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু কমিশন তাঁকে বন্দি বানালেও তৃণমূল সুপ্রিমোর স্নেহের কেষ্ট আছে নিজস্ব মেজাজে। এদিন নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত জেনেই তাঁর পাল্টা, ‘ঘরের ভিতরে চার জনে মিলে কি খেলা হয় না?’
বৃহস্পতিবারের ভোটের আগে মঙ্গলবার অনুব্রতকে নজরবন্দি করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। আগামী ৩০ এপ্রিল সকাল ৭টা পর্যন্ত নজরবন্দি থাকবেন তিনি। কমিশনের এই পদক্ষেপে অনুব্রতর পাল্টা প্রশ্ন, ‘নজরবন্দি মানে কী? আমি যেখানেই যাব সেখানেই এক জন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে আর কয়েক জন সিআরপিএফ থাকবে। এই তো নজরবন্দি। আমাকে তো গৃহবন্দি করেনি!’
কমিশনের নাম না করেই তিনি বলছেন, ‘প্রত্যেক বার করে, এ বারও করেছে। আমি যখন বাড়ি থেকে বেরোব, পার্টি অফিসে যাব, আমার সঙ্গে সঙ্গে আসবে ক্ষতি কী আছে? খেলা কি বন্ধ হয় ? ঘরের ভিতরে চার জনে মিলে খেলা হয় না? খেলব মনে করলেই খেলা হবে।’
এই প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন ওঁর সেই গুণধর ভাই যা যা করেন, যা যা বলেন তাতে এর সম্ভাবনা আছে। এর আগেও নির্বাচন কমিশন করেছে। অনুব্রত মণ্ডল বাইরে থাকলে পুলিশ প্রশাসন স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারবে না।’
যদিও নজরবন্দি হতে পারেন বীরভূমে তাঁর সুপ্রিম কমান্ডার। এমনটা ইঙ্গিত সাম্প্রতিক ভোট প্রচারে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি, গরু পাচার-কাণ্ডে অনুব্রতকে সিবিআইয়ের তলব নিয়েও সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
যদিও ভোট এবং করোনা আবহ, এই দুয়ের কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবার সিবিআই তলব উপেক্ষা করেছেন অনুব্রত মণ্ডল।