Advertisment

ফের ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা কেরালায়, কিঞ্চিৎ স্বস্তিতে পুণে

আগামী দুদিনে ফের ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা কেরালায়। মঙ্গলবার এমনটাই ঘোষণা করল ভারতীয় আবহাওয়া দফতর। এখন পর্যন্ত বৃষ্টি ও বন্যার দাপটে সে রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৮৮ জন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
kerala flood

সামান্য বিরতি, কিন্তু আগামী দুদিনে ফের ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা কেরালায়। মঙ্গলবার এমনটাই ঘোষণা করল ইন্ডিয়ান মিটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (আইএমডি), অর্থাৎ ভারতীয় আবহাওয়া দফতর। এখন পর্যন্ত বৃষ্টি ও বন্যার দাপটে সে রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৮৮ জন নাগরিক। এছাড়াও আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাজ্যের পাঁচটি জেলা, যাদের মধ্যে রয়েছে এখন পর্যন্ত বন্যায় সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত মালাপ্পুরম এবং ওয়ানাড় জেলা, বুধবার ভারী বর্ষণের কবলে পড়তে চলেছে।

Advertisment

অন্যদিকে, বৃষ্টির প্রকোপ কমে যাওয়ায় এবং আলমাত্তি বাঁধ থেকে জল কম ছাড়ায় দ্রুত জলের স্তর নামছে পুণের বন্যা-কবলিত এলাকাগুলিতে। সোমবার ধাপে ধাপে যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হয় মুম্বই-বেঙ্গালুরু ন্যাশনাল হাইওয়েও। প্রথমে শুধুমাত্র জরুরি সামগ্রী বোঝাই ট্রাক চলাচলের অনুমতি দেওয়া হলেও পরে অন্যান্য যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় হাইওয়ে। কিন্তু জলের স্তর কমলেও এখনও জলমগ্ন এবং বিচ্ছিন্ন পুণে ডিভিশনের ৪৬টি গ্রাম, যাদের মধ্যে ১২ টি সাংলি জেলায় এবং ১৮ টি কোলহাপুর জেলায়।

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন জানিয়েছেন, প্রাথমিক অনুদান হিসেবে কেন্দ্র থেকে ৫২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে কেরালা সরকারকে, জানাচ্ছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। এছাড়াও গত বছরের ৩,০০০ কোটি টাকার অনুদানের ১,৫০০ কোটি টাকা অবশিষ্ট রয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে।

ওদিকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ এবং তাঁর মন্ত্রীগোষ্ঠীর সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রীর বন্যাত্রাণ তহবিলে নিজেদের এক মাসের মাইনে ডান করবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও ফড়নবীশ রাজ্যে বন্যাত্রাণের জন্য ৬,৮১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন, এবং কোলহাপুর, সাংলি এবং সাতারার জন্য আলাদা করে ৪,৭০৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

Advertisment

গত সাতদিনে মহারাষ্ট্র, গোয়া, এবং কর্ণাটকের বন্যা-কবলিত এলাকা থেকে ভারতীয় নৌবাহিনীর দৌলতে উদ্ধার হয়েছেন ১৪ হাজারেরও বেশি বন্যা-দুর্গত মানুষ। নৌবাহিনীর এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক একথা জানিয়ে বলেছেন, 'বর্ষা রাহত' নামে এই মিশনের অধীনে ৪১ টি নৌবাহিনীর টিম মোতায়েন করা হয় ওই তিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে, যেখানে কঠিন আবহাওয়া পরিস্থিতির মোকাবিলা করে লাইট হেলিকপ্টার এবং নৌকোর সাহায্যে বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলিতে পৌঁছন নৌবাহিনীর কর্মীরা।

Advertisment