দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি ঘূর্ণিঝড় 'ফণী' আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে আরও তীব্র আকার ধারণ করবে বলে সোমবার ঘোষণা করেছে আবহাওয়া দফতর। বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্ব উপকূল এলাকায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারী ঝড় এবং বর্ষণ সহ আছড়ে পড়তে পারে এই সুপার সাইক্লোন। পয়লা মে সন্ধ্যায় ঝড় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দিকে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং তারপরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দিকে ধীরে ধীরে অভিমুখ বদলাবে ফণী।
ইতিমধ্যে শ্রীলঙ্কার ত্রিনকোমালির ৬২০ কিমি পূর্বে,চেন্নাইয়ের ৮৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মাছিলিপতনামে ১০৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে আছড়ে পড়েছে ফণী।
আরও পড়ুন: মিমির ব্যাঙ্কে কত টাকা, ফ্ল্যাটের বাজারদর কী, গাড়ির দামই বা কত?
আবহাওয়া দফতর তরফে বলা হয়েছে, এপ্রিল ২৯ এবং ৩০-এ কেরালায় বজ্র বিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন তামিলনাড়ুর ওপর দিয়ে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাবে।
ইতিমধ্যেই ভারী সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি ভারতীয় কোস্ট গার্ডকে উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তামিলনাড়ু অন্ধ্রপ্রদেশের পর ওড়িশায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ফণীর।
সাইক্লোন ফণীর কারণে কী পরিস্থিতি হতে পারে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কর্মকর্তাদের বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত হতে বলেছেন।
এখন প্রশ্ন পশ্চিমবঙ্গে কতটা প্রভাব পড়বে ফণীর ?
পয়লা মে , ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাবে দক্ষিণবঙ্গে। পাশাপাশি বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। ২ মে ফণীর প্রভাব আরও প্রকট হবে পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় উপকূলবর্তী জেলায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। যা চলবে টানা ৩ তারিখ অবধি। এদিন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং উত্তর দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার ভারী বৃষ্টিপাত হবে।
Read the full story in English