লিঙ্গায়ত মঠের সাধু শিবমূর্তি মুরুঘা শরনারুর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করার মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে সাধু শিবমূর্তিকে গ্রেফতার করল কর্ণাটক পুলিশ। সম্প্রতি, কর্ণাটকের চিত্রদুর্গ এলাকায় অবস্থিত লিঙ্গায়ত মঠের ওই সাধুর বিরুদ্ধে দুই নাবালিকার যৌন হেনস্থার অভিযোগে উত্তাল হয় রাজ্য-রাজনীতি। ঘটনায় অভিযুক্ত যাতে কোনোভাবে ফেরার না হতে পারে সেইজন্যই কর্ণাটক পুলিশের তরফে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়। উল্লেখ্য যৌন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোর এক সপ্তাহের মাথায় গ্রেফতার হল সাধু শিবমূর্তি।
উল্লেখ্য, অভিযোগকারিণী দুই নাবালিকার বয়স যথাক্রমে ১৫ এবং ১৬ বছর। দুই নাবালিকা মঠ পরিচালিত একটি স্কুলে পাঠরত ছিলেন এবং স্কুল সংলগ্ন হোস্টেলে তারা থাকতেন। গত ২৪ জুলাই তাঁরা হোস্টেল ত্যাগ করেন এবং ২৫ জুলাই তাদের কটনপেট থানায় পাওয়া যায়। এরপর ২৬ আগস্ট লিঙ্গায়ত স্বামী শিবমূর্তির বিরুদ্ধে মাইসোরের নজরবাদ থানায় পকসো আইনের আওতায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। পুলিশকে ওই দুই নাবালিকা জানায় গত সাড়ে তিন বছর ধরে তাদের ওপর যৌন হেনস্থা চালাতেন ওই লিঙ্গায়ত মঠের সাধু। অবশেষে সাধুকে গ্রেফতার করল কর্ণাটক পুলিশ।যদিও, তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন লিঙ্গায়ত স্বামী শিবমূর্তি। তিনি বলেন, 'তাকে বদনাম করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চক্রান্ত করা হয়েছে'।
আরও পড়ুন: <সেনাবাহিনীতে প্রশিক্ষণ দেশি সারমেয়দের! ঝাঁপিয়ে জঙ্গি ধরতে কতটা পটু তারা, জানুন>
চিত্রদুর্গ জেলার এসপি পরশুরাম কে সাধু শিবমূর্তির গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "দুই নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে সাধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনাটি জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ"। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সাধু শিবমূর্তিকে আড়ালের অভিযোগে উত্তাল হয় রাজ্য-রাজনীতি। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। যদিও নিজের গ্রেফতারি এড়াতে ইতিমধ্যেই আগাম জামিনের আবেদন করেন তিনি। আগামীকাল তার শুনানি। শিবমূর্তি ছাড়াও আরও আরও চারজনের নাম রয়েছে এফআইআর-এ।