ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা, কীভাবে ঘটল এত বড় দুর্ঘটনা ? ইতিমধ্যেই তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। সিবিআই এবং কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস) ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্তের সময় জানতে পেরেছে রক্ষণাবেক্ষণের সময় "পয়েন্টগুলির সঠিক পরিদর্শন ছাড়াই সিগন্যালিং সিস্টেম পুনরায় যোগ করা হয়, তারপর সেগুলি পরীক্ষা করে দেখাও হয়নি এবং তদন্তে উঠে এসেছে "প্রস্তুতিমূলক কাজের সময় ভুল ওয়্যারিং সিস্টেম’ই ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য দায়ি।
ওড়িশার বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই এবিষয়ে চিঠিতে রেলকে সতর্কও করেছিলেন, রেলওয়ে বোর্ডের সদস্য আরএন শঙ্কর। তিনি চিঠিতে জানিয়েছিলেন, সিগন্যালিং সিস্টেমে কর্মীদের "শর্টকাট” পদ্ধতি ডেকে আনতে পারে বড়সড় বিপদ। তার চিঠির পরেও কেন ব্যবস্থা নেয়নি রেল উঠেছে সেই প্রশ্নও।
চিঠি অনুসারে, সিগন্যালিং তারগুলি কাটা হয়েছিল এবং পুনরায় সংযোগের পরে তা পরীক্ষা করা হয়নি; পয়েন্টটি লুপ লাইনের জন্য সেট করা হয়েছিল, যেখানে সিগন্যালটি মেইনলাইনের জন্য সেট করা হয়। স্টাফদের রক্ষণাবেক্ষণের কাজের পরে সিগন্যাল পয়েন্ট পরীক্ষার কাজও করা হয়নি যার ফলে ভুল লাইনে প্রবেশ করে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। চিঠি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, রেলওয়ে বোর্ডের একজন মুখপাত্র বলেন, যে ‘এটি নিরাপত্তা পর্যালোচনার অংশ এই বিষয়ে এখনই কোন মন্তব্য নয়’।
২ জুন সন্ধ্যায় বালেশ্বরে মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। বাহানাগা স্টেশনের করমন্ডল এক্সপ্রেস (12841) এবং মালগাড়ির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনার খবর পেয়েই এনডিআরএফ সহ উদ্ধার দলের সদস্যরা অভিযানের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে হাজারের বেশি। রেলমন্ত্রী অশ্বনী বৈষ্ণব প্রথম থেকেই রেলের সিগন্যালিং সিস্টেমের জন্যই যে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা একাধিকবার সংবাদমাধ্যমের সামনে জানিয়েছেন। এবার তদন্তেও উঠে এল একই তথ্য।
রেলওয়ে বোর্ডের সদস্য আরএন শঙ্কর স্পষ্ট ভাষায় রেলকে জানিয়েছেন, নিয়ম নিতীর তোয়াক্কা না করে সিগন্যালিং সিস্টেমের এই ধরনের এই ধরনের ‘ম্যানুয়াল অভ্যাসগুলি’ রেলের নিরাপত্তায় সম্ভাব্য বিপদ ডেকে আনতে পারে এবং তা বন্ধ করা দরকার,” ।