যে সব পুলিশ অফিসারদের ওজন এবং কোমরের মাপ 'স্বাভাবিকের থেকে বেশি', এমন সমস্ত কর্মীকে শনাক্ত করে নভেম্বর মাসের মধ্যে সেই বিশদ রিপোর্ট ইমেল বা ডাকের মাধ্যমে জমা দেওয়ার আদেশ দিলেন রাজস্থানের বিকানের জেলার পুলিশ সুপার। বুধবার জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, "সেই সব পুলিশ অফিসারদের চিহ্নিত করুন যাদের ওজন গড় ওজনের তুলনায় বেশি। তাঁদের ওজনের সব তথ্য পাঠিয়ে দিন।"
আরও পড়ুন: পিলভিটের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাওয়া হয় না জাতীয় সঙ্গীত, তদন্তে উঠে এল নয়া তথ্য
তবে এই চিহ্নিতকরণের কাজের সময় যদি কোনও অতিরিক্ত ওজনের কর্মী না পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে পুলিশ সুপারের অফিসে যোগাযোগ করে তা জানাতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই তথ্য পাঠানো না হলে দায়িত্বরত অফিসারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নির্দেশে বলা হয়। হিন্দি ভাষায় আদেশটির একটি ফর্ম্যাটও পাঠানো হয়েছে, যেখানে অতিরিক্ত ওজনবিশিষ্ট কর্মীদের নাম, তাঁদের ওজন, বুক এবং কোমরের মাপও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
এহেন ঘটনা নিয়ে বিকানেরের পুলিশ সুপার প্রদীপ মোহন শর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, "এটি একটি রুটিন প্রক্রিয়া, যা প্রতিবছর পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে করা হয়। এটি একটি সমীক্ষার অংশ। যেখানে কর্মীদের ফিটনেস যাচাই করে কোন বিভাগে কতটা উন্নতি করতে হবে তার পরামর্শও দেওয়া হয়ে থাকে।"
আরও পড়ুন: দিল্লির অবৈধ কলোনির বাসিন্দাদের জন্য ‘ঐতিহাসিক’ সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের
প্রসঙ্গত, অতীতেও রাজস্থান পুলিশ নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন ফিটনেসের ওপর জোর দিয়েছিল। ২০১১ সালে তৎকালীন রাজস্থানের ডিজিপি হরিশ মীনা পুলিশে নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে দশ কিলোমিটার ফিটনেস দৌড় চালুর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন রাজস্থানের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার এবং রাজনীতিকরা।
যদিও ডিজিপি হরিশ মীনার বক্তব্য, পুলিশ সম্পর্কে মানুষের যে ধ্যানধারণা, তা বদলাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল। পুলিশ মানেই যে হৃষ্টপুষ্ট, এমন ভাবনায় বদল আনার জন্য এই পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল। উল্লেখ্য, হরিশ মীনা নিজে ৪৮ মিনিটের মধ্যে ১০ কিলোমিটার দৌড় শেষ করেছিলেন।
Read the full story in English