CMRI হাসপাতালে যাদবপুর থানার ওসি পুলক দত্তের হাতে চিকিৎসক শ্রীনিবাস গেদামের তথাকথিত নিগ্রহের প্রতিবাদে আজ পথে নামলেন চিকিৎসকরা, যদিও শ্রীনিবাস নিজে সেই মিছিলে শামিল হলেন না। দক্ষিণ কলকাতার CMRI হাসপাতাল থেকে আলিপুর থানা পর্যন্ত মিছিলে হাঁটলেন চিকিৎসক সংগঠনের সদস্যরা। মিছিল শেষে আলিপুর থানার সামনে কার্যত শুয়ে পড়েই পথ অবরোধ করেন চিকিৎসকরা। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই উঠে যায় অবস্থান।
মিছিলের পর সংগঠনের সংযুক্ত মঞ্চের পক্ষ থেকে আগামী বুধবার সরকারি এবং বেসরকারি চিকিৎসকরা বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক সংগঠনের সদস্য ডাঃ রেজাউল করিম বলেন, "এই সময়ের মধ্যে পুলক দত্তকে গ্রেফতার করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে না এলে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করা হবে।"
আলিপুর থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ।
ডাঃ করিম আরও বলেন ''মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসক নিগ্রহ রুখতে শুভ উদ্যোগ নিয়ে যে প্রচার চালিয়েছিলেন, কার্যত সেই শুভ উদ্যোগকে ভেস্তে দিতেই এসব কাণ্ড কারখানা হচ্ছে, এতে মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে পুলিশ প্রশাসনের ওপরে।'' সূত্রের খবর, কিছুদিন আগেই চিকিৎসক সংগঠনের সঙ্গে একটি সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভায় তিনি জানান, কোনও হাসপাতালে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা ঘটলে সেই চিকিৎসক কোনওরকম এফআইআর করবেন না, এফআইআর দায়ের করতে হবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকেই। এই মর্মে আজ সোমবার CMRI-কে একটি বিবৃতি জমা দেন চিকিৎসকরা, এবং হাসপাতালের তরফে কেন কোনও অভিযোগ জমা পড়ল না, তাও জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে ক্রমাগত চাপে রাখা হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। তবে কোনও উত্তর মেলেনি হাসপাতালের তরফে।
আরও পড়ুন: ‘বন্ধুত্বপূর্ণ মিটমাট’ মানতে নারাজ, ওসি পুলক দত্তের শাস্তির দাবি চিকিৎসক সংগঠনের
আজ মিছিল শেষে আলিপুর থানায় একটি স্মারকলিপি জমা দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু ওসি পুলক দত্তের গ্রেফতারির বিষয়ে পুলিশের কাছ থেকেও কোনও সদুত্তর মেলেনি বলে অভিযোগ চিকিৎসকদের। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, এ বিষয়ে তদন্ত করছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই চারদিন কেটে গেলেও হাসপাতালে আপাত নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত ওসি-র বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত কত দূর এগিয়েছে, তা জানা যায়নি। এ প্রসঙ্গে চিকিৎসকদের দাবি, যেখানে ঘটনার কোনও এফআইআর-ই জমা পড়েনি, কী সাপেক্ষে তদন্ত করা হচ্ছে তা কার্যত স্পষ্ট নয় তাঁদের কাছে।