সুপ্রিম কোর্টে গেল পশ্চিমবঙ্গের পুজো অনুদান মামলা। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা গৃহীত হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে। আগামী কাল এই মামলার শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, ২৮ হাজার পুজো কমিটিকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দোবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই মতো টাকা বিলিও শুরু হয়ে যায়। কিন্তু, সরকারের এমন পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। প্রাথমিকভাবে এই সরকারি সিদ্ধান্তে আদালত স্থগিতাদেশ দিলেও বুধবার (গতকাল) জনস্বার্থ আবেদনটি খারিজ করে দেয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিষ করগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ। জনস্বার্থ মামলার আবেদনটি ত্রুটিপূর্ণ উল্লেখ করার পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। আদালতের দৃষ্টিতে এ ক্ষেত্রে আইনসভার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। ফলে, বুধবারের রায় অনুযায়ী পুজো সংগঠনগুলিকে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের আর কোনও বাধা নেই। কিন্তু, এবার হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে (পড়ুন, টাকা বা চেক বিলির উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে) মামলা গেল সুপ্রিম কোর্টে।
Druga Puja in Kolkata:
পড়ুন, এই মামলার সম্পূর্ণ ইতিবৃত্ত
মামলা যে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে সম্ভবত সেটা আঁচ করতে পেরেছিল রাজ্য প্রশাসনও। তবে ইতিমধ্যে কটি পুজো কমিটি অনুদান পেয়ে গিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
এদিকে, দেশের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নিয়েই রঞ্জন গগৈ জানিয়েছিলেন, যেকোনও মামলার জরুরি শুনানির জন্য আবেদন করার অভ্যাসে ইতি টানতে হবে। কারণ, শীর্ষ আদালতে মামলার যা চাপ, তাতে বেশি সংখ্যক মামলার জরুরি শুনানি করা সম্ভব না। কিন্তু, পুজো অনুদান মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জে করে দায়ের হওয়া মামলার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর পক্ষে দ্রুত শুনানি চাওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মামলাকারীর দাবি, দ্রুত শুনানি না হলে সরকার অন্যায্যভাবে অনুদান দিয়ে দেবে। জানা যাচ্ছে, এই মামলাকে শেষ পর্যন্ত দ্রুত শুনানির জন্যই গ্রহণ করেছে শীর্ষ আদালত এবং রঞ্জন গগৈ প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর শুক্রবারের পুজো অনুদানের মামলাই হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রথম জরুরি শুনানি।