দেশের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের গড় উৎপাদন অনেকটাই বেশি। রাজ্যের গড় অভ্যন্তরিন উৎপাদন ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে বেড়েছে ৯.১৫ শতাংশ। সেখানে দেশে তা ৬.৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজ্য়ের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বুধবার নবান্নে এই তথ্য পেশ করে জানান, কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান সংস্থা স্বীকার করে নিয়েছে যে রাজ্যের জিডিপির হার অনেকটাই বেশি। তার ফলে পঞ্চদশ অর্থ কমিশন রাজ্যের দাবি মেনে নিতে পারে।
জিডিপি নিয়ে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। অমিতবাবু বলেন, "রাজ্যের দাবি মেনে নিল কেন্দ্রীয় সরকার। অবশেষে জিডিপি নিয়ে নিষ্পত্তি হল। রাজ্য়ে শিল্পের প্রগতিও মেনে নিয়েছে কেন্দ্র। এটা রাজ্যের ক্ষেত্রে বড় সাফল্য। জিডিপি বিতর্ক নিয়ে গত দু বছর ধরে টানাপোড়েন চলছিল। উৎপাদন, বিদ্যুত, মাইনিং এবং আবাসন শিল্পে দ্রুত অগ্রগতি হয়েছে এখানে।"
জিডিপির অগ্রগতির পিছনে মুখ্যমন্ত্রী ৪০০ এর ওপর প্রশাসনিক বৈঠকের বিশেষ অবদান রয়েছে। যার দরুন প্রকল্পগুলো রূপায়নের ওপর জোর দেওয়া সম্ভব হয়েছে। একথা বলে অমিত মিত্র বলেন, “জিডিপির হার নির্ভর করে রাজ্যে কত সম্পদ সৃষ্টি হচ্ছে তার ওপর।’’ একটি তথ্য দিয়ে মন্ত্রী জানান, রাজ্যে ২০১০-১১তে মূলধনী ব্যয় ছিল ২,২২৫ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮তে তা দাঁড়ায় ২১হজার ৫৬১কোটি টাকা। যা ৯ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
অর্থমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যঃ বৃদ্ধির হার
২০১৭-১৮ ভারত পশ্চিমবঙ্গ
উৎপাদন শিল্প ৫.৭৪ ১০.২০
বিদ্যুত গ্যাস ৭.১৭ ১৮.২৭
মাইনিং ২.৯৪ ৪.৪৪
নির্মান শিল্পে ৫.৭৪ ২০.৬৩
জিডিপি ৬.৭০ ৯.১৫
শিল্পক্ষেত্রে ৫.৫৪ ১৬.২৯
জিবিএ ৬.৫০ ৯.৫৯
অমিত মিত্র জানালেন, কারেন্ট প্রাইসে রাজ্যের জিডিপি র লক্ষ্য মাত্রা ছিল ২০১৭-১৮ তে ১০ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু রাজ্যের জিডিপি হয়েছে ১০,২০,৮৫৮ কোটি টাকা। লক্ষ্য়মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, "পঞ্চদশ অর্থ কমিশন এই তথ্য মেনে নিলে রাজ্যের সুবিধা হবে। পাশাপাশি জিডিপি বাড়লে কর্মসংস্থানও বাড়বে।"