সিলেট মাদ্রাসার একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন, হাতে রয়েছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের অনুমতি, তবু বাংলাদেশ যাওয়ার ভিসা পেলেন না, এমনটাই অভিযোগ রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী তথা জামাইত উলেমা এ হিন্দ-এর রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর। প্রসঙ্গত, সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাসের পরে সারা দেশ যখন উত্তাল সারা দেশ, সেই বিক্ষোভের মাঝেই ভারত সফর বাতিল করেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান । সেই জেরেই এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
আরও পড়ুন: ভোটার কার্ড-রেশন কার্ড-সার্টিফিকেট লাগবে না, কীভাবে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, জানালেন দিলীপ ঘোষ
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী জানান যে বৃহস্পতিবারেই তাঁর বাংলাদেশ যাওয়ার কথা ছিল। সেই মতই ১০ দিন আগে ভিসার জন্য আবেদনও করেছিলেন। এমনকি টিকিট ও বুক করা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আচমকাই কোন কারণ ছাড়াই ভিসা বাতিল করে দেওয়া হয়। মন্ত্রী বলেন, "একজন মন্ত্রী হিসেবে কেন্দ্র এবং রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতিপত্র নিয়েছিলাম। আমি নো অবজেকশন সার্টিফিকেট ও নিয়েছিলাম। এখন জানতে পারলাম বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের তরফে আমার ভিসা বাতিল করা হয়েছে। দু'দেশের মধ্যে যে সুসম্পর্ক রয়েছে সেখানে এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই বিষয়টি তুলে ধরব।"
আরও পড়ুন: রাজ্যপালের একান্ত সাক্ষাৎকার: ‘মমতা যাই বলুক আমি ছাড়ব না’
তবে এ বিষয়ে কলকাতা স্থিত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের পক্ষ থেকে কোনওরকম মন্তব্য করা হয়নি। জানা গিয়েছে, সিলেটের মাদ্রাসায় একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য স্ত্রী, কন্যা, নাতনী-সহ নিজের জন্য ভিসার আবেদন জানিয়েছিলেন সিদ্দিকুল্লা। সম্প্রতি, ধর্মতলায় জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ-র সমাবেশে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিশানা করে সিদিকুল্লা চৌধুরি বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রত্যাহার না করা হলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কলকাতা বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হবে। মন্ত্রীর বক্তব্য, “প্রয়োজনে আমরা তাঁকে (শাহ) বিমানবন্দর থেকে শহরে প্রবেশ করতে দিতে না ও পারি। সিএএ প্রত্যাহার না করা হলে আমরা লক্ষ লক্ষ মানুষ জড়ো করে বিমানবন্দরেই তাঁকে আটকে রাখতে পারি।"
Read the story in English