পঞ্চায়েত মামলার রায় ঘোষণা করল সুপ্রিমকোর্ট ৷ শুক্রবার প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র এবং বিচারপতি এএম খানউইলকর ও বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের একটি বেঞ্চ জানিয়ে দিল পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটে কোনও পুনর্নির্বাচন হবে না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী আসনের ফল ঘোষণা হবে। রাজ্য সরকার ও কমিশনের পক্ষেই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। বলা বাহুল্য, এতে কার্যত বেশ বড়সড়ো ধাক্কা খেল রাজ্যের বিরোধী দল।
এ দিন শীর্ষ আদালত জানায়, "নির্বাচনের ফলাফলের অসন্তুস্ট যেকোনও ব্যক্তি এই ৩০ দিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট আদালতে তাঁর আবেদন পত্র জমা দিতে পারেন"। অর্থাত্ৎ পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিন থেকেই এর সময়সীমা শুরু হবে এবং এর পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যেই নির্বাচনী আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পঞ্চায়েত ভোট, বিস্মিত সুপ্রিম কোর্ট
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছিল ই-মেল এবং হোয়াটস্যাপের মাধ্যমেও পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। তবে নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতে গিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সিপিএম, বিজেপি রাজ্যের এই বিরোধী দলগুলি আদালতে গিয়ে অভিযোগ জানায়। তৃণমূল কংগ্রেসের সন্ত্রাসের ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্রই জমা দিতে পারেনি তারা কার্যত এমনটাই দাবি ছিল তাঁদের। ফল প্রকাশের পর বাড়ে জটিলতা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাসক তৃণমূলের জয়ের কথায় আদালতে সরব হয়েছিল বিজেপি।
রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিরোধীদের করা আবেদনে যে তথ্য দেওয়া হয়েছিল তাতেই কার্যত চোখ কপালে উঠেছেিল দেশের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের। ১৬, ৮৬০ টি আসন কী ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন হতে পারে, তা নিয়ে রীতিমত বিস্ময়প্রকাশ করেছিলেন তিনি। আদালতে আবেদনকারীদের জমা দেওয়া তথ্য অনুসারে, সারা রাজ্যে জেলা পরিষদে ৮২৫ টির মধ্যে ২০৩টি, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৯২১৭টির মধ্যে ৩০৯৬টি ও গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪৮৬৫০টির মধ্যে ১৬৮৬০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। এ ব্যাপারে রাজ্যের আইনজীবীদের প্রশ্ন করা হলে তাঁরা জানান, এ তথ্য মোটের ওপর নির্ভুল।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে রাজ্যের মোট ৫৮,৬৯২ গ্রাম পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতিতে ভোট হয়েছিল ৷ এই বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের সংঘর্ষের ফলে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১২ জনের পাশাপাশি আহতও হয়ছেন অনেকেই।