Sheikh Hasina: কয়েক মিনিটের মধ্যেই ক্ষমতাচ্যুত হন টানা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁকে প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়। দেশ থেকে পালানোর জন্য তিনি মাত্র ৪৫ মিনিট সময় পেয়েছিলেন, সেই সময়ের মধ্যে তিনি ভারতে পালিয়ে আসেন। কিন্তু প্রশ্ন হল ভারত কেন? নেপাল যেতে পারতেন। ভুটানে যেতে পারতেন। না হলে সে পাকিস্তানে চলে যেতে পারতেন হাসিনা। তিনি ব্রিটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স, রাশিয়া বা বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেতে পারতেন। কিন্তু পালিয়ে যাওয়ার সময় তিনি কেন ভারতে আসেন?
শেখ হাসিনার ভারতে পালানোর বড় কারণ হচ্ছে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতা। দ্বিতীয় বড় কারণ হচ্ছে হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের সময় থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক। ভারতই বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীকে সাহায্য করার জন্য সেনাবাহিনী পাঠিয়েছিল এবং তারপর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তান ভেঙে একটি নতুন বাংলাদেশ তৈরি হয়। শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ভারতই শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছিল, যার কারণে শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচেছিলেন। পাশাপাশি প্রাণ বাঁচে হাসিনার বোন রেহানার
এমনকী ২০০৯ সালে, যখন বাংলাদেশ রাইফেলস শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে এবং অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিল, তখন ভারত শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সাহায্য করেছিল। কিন্তু ২০২৪ সালে ভারতও যখন বুঝতে পারল যে বাংলাদেশে থাকলে হাসিনাকে কোনোভাবেই বাঁচানো যাবে না, তখন অভ্যুত্থানের পরপরই ভারত নিজেই শেখ হাসিনাকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানায়। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন।
আরও পড়ুন - < Earthquake: সাতসকালে বাংলায় ভূমিকম্প, আতঙ্কে ঘর-বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় অনেকে >
শেখ হাসিনা এখন ভারতে। কিন্তু প্রশ্ন হল কতদিন? শেখ হাসিনা কি স্থায়ীভাবে ভারতে থাকবেন নাকি বাংলাদেশে শেখ হাসিনার কাঙ্খিত পরিস্থিতি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত তাকে ভারতেই থাকতে হবে? এ প্রশ্নের কোনো সঠিক উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি, কারণ বিশ্বের কোনো দেশই শেখ হাসিনাকে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে প্রস্তুত নয়। ব্রিটেন এই বিষয়ে নীরবতা পালন করেছে, আমেরিকা তার দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও সৌদি আরব যাওয়ার কথাও ভাবতে পারেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই দুই দেশের তরফে তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সব মিলিয়ে শেখ হাসিনা এখনও ভারতে আছেন এবং তাকে কিছুদিন ভারতেই থাকতে হবে। তবে এই সময় কতদিন হবে তা ঠিক হয়নি।
পাশাপাশি ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা RAW কাছে এখন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ মিশন হচ্ছে বাংলাদেশ মিশন। ভারতের ভূ-রাজনৈতিক নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশের উপর নিরাপত্তা রাখাটা ভারতের কাছে এক বড় চ্যালেঞ্জ। সম্প্রতি শেখ হাসিনা দিল্লী সফরে ভারতের সঙ্গে তিনটি চুক্তি করেন। মংলা বন্দরের নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা ভারতকে দেওয়া। বাংলাদেশ হয়ে অসম ও ত্রিপুরা রেল করিডোর ও তিস্তা জল প্রকল্প।