মঙ্গলবার দশম দিনেও উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা-বারকোট সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধারকাজ জারি আছে। শ্রমিকদের বদ্ধ সুড়ঙ্গ থেকে সরাতে বর্তমানে পাঁচ দফা পরিকল্পনা করা হয়েছে। সোমবার, এই উদ্ধার প্রচেষ্টায় প্রথম সাফল্য এসেছে। ইতিমধ্যেই একটি ছয় ইঞ্চি ব্যাসার্ধের পাইপের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী সফলভাবে সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
কী সেই পাঁচ পরিকল্পনা?
১ সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকান বোরিং মেশিন ব্যবহার করে সিল্কিয়ারা প্রান্ত (যেখানে ধ্বংসাবশেষ রয়েছে) থেকে NHIDCL দ্বারা অনুভূমিক বোরিং সোমবার রাতের মধ্যে পুনরায় শুরু হওয়ার। শুক্রবার বিকেলে মেশিনটি ড্রিলিং বন্ধ করে দিয়েছিল। কারণ ২২ মিটার পর্যন্ত প্রবেশের পর মেশিনটির বিয়ার্ং ক্ষতির সম্ভবনা ছিল। পরে মুম্বই থেকে একটি নতুন সেট বিয়ারিং আনা হয়েছে।
২ টানেলের উপর থেকে আরও ১.২ মিটার চওড়া গর্ত উল্লম্বভাবে খনন করা হচ্ছে। এটির জন্য প্রায় ৯০ মিটার খননের প্রয়োজন হবে এবং সিল্কিয়ারা দিক থেকে ৩২০ মিটার জায়গায় সুড়ঙ্গের সঙ্গেমিলিত হবে। এই রুট তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাতলুজ জল বিদ্যুৎ নিগমকে। বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন একটি প্রবেশ পথ তৈরি করার পর উল্লম্ব উদ্ধারকারী পথেক নির্মাণের জন্য প্রথম মেশিন ইতিমধ্যে ওই জায়গায় পৌঁছেছে। মঙ্গলবার থেকে খননের কাজ শুরু হবে। গুজরাট এবং ওডিশা থেকে আরও দু'টি মেশিন আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে সড়কপথে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- কিছুটা স্বস্তি, প্রকাশ্যে এল উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের ছবি
৩ উদ্ধারকাজের সঙ্গে যুক্ত কর্তারা জানিয়েছেন যে RVNL টানেলের বাঁ দিক থেকে অনুভূমিক মাইক্রো-ড্রিলিংও করছে। এটি ভবিষ্যতেও একটি জীবন রক্ষাকারী সুড়ঙ্গ হিসেবে কাজ করবে। এই সুড়ঙ্গ ১.২ মিটার চওড়া, ১৬৮ মিটার দীর্ঘ এবং সিল্কিয়ারার দিক থেকে প্রায় ৩০০ মিটার অ়্চল দিয়ে বিদ্যমান টানেলের সঙ্গে যুক্ত হবে। অনুভূমিক ড্রিলিংয়ের মাধ্যমে মাইক্রো-টানেল করার জন্য যন্ত্রপাতি নাসিক এবং দিল্লি থেকে আসছে।
৪ তাছাড়া, প্রচলিত ড্রিল এবং বিস্ফোরণ পদ্ধতির মাধ্যমে তেহরি হাইড্রো ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (টিএইচডিসি) দ্বারা বারকোট প্রান্ত থেকে একটি উদ্ধার সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। বিদ্যমান ব্যাস সহ টানেলটি সম্পূর্ণ করার পরিবর্তে, টিএইচডিসি একটি অপেক্ষাকৃত সরু টানেল তৈরি করবে। এর জন্য ৪৮৩ মিটার খননের প্রয়োজন হবে।
৫ অবশেষে, ওএনজিসি-কে ২.৩-কিলোমিটার এলাকায় আরেকটি উল্লম্ব টানেল তৈরি করতে বলা হয়েছে, যেখানে সিল্কিয়ার দিক থেকে টানেলটি সম্পূর্ণ হয়েছে। টানেলটি প্রায় ৩২৫ মিটার গভীর হবে। উল্লম্ব বোরিংয়ের জন্য মেশিনগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মুম্বই এবং গাজিয়াবাদ থেকে ওএনজিসি- মাধ্যমে আনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- বদ্ধ সুড়ঙ্গে প্রায় ১০দিন! কোন পথে মোকাবিলায় এখনও বেঁচে আটকে থাকা ৪১ শ্রমিক?