Pakistan on Hafiz Saeed: কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী ও ২৬/১১-য় মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সঈদকে ভারতে ফেরাতে নয়াদিল্লির তরফে পাক সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। পাকিস্তানের প্রথমসারির সংবাদপত্র দ্য ডন-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী সেই চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেছে ইসলামাবাদ। ভারতের দাবি মেনে নিয়ে কী হাফিজ সঈদকে প্রত্যর্পণ করা হবে? তা নিয়েও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পাক সরকারের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র।
শুক্রবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেছেন যে, 'পাকিস্তানস্থিত হাফিজ সঈদকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ করে পাকিস্তান সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সঙ্গে কিছু নথিও সম্প্রতি ইসলামাবাদে পাঠানো হয়েছিল।'
দ্য ডন-এ প্রকাশিত প্রতিবেন অনুযায়ী, হাফিত সঈদ ফেরানোর দাবিতে ভারতের চিঠি প্রাপ্তির কথা পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ স্বাকার করেছেন। জানিয়েছেন, তথাকথিত আর্থিক তছরুপ মামলায় সঈদের প্রত্যর্পণের অনুরোধ করা হয়েছে। সঙ্গে বলেছেন, 'এটি লক্ষণীয় যে পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে কোন দ্বিপাক্ষিক প্রত্যর্পণ চুক্তি বিদ্যমান নেই।'
ইসলামাবাদের সঙ্গে নয়াদিল্লির কোনও দ্বিপাক্ষিক প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই। তবে দক্ষ কূটনীতিকদের মতে, এই ধরণের চুক্তি না থাকলেও প্রত্যর্পণ সম্ভব।
ভারতের 'মোস্ট ওয়ান্টেড' সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় দীর্ঘদিন ধরেই নাম রয়েছে লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সঈদের। অভিযোগ, ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন এই সঈদ। কিন্তু, ভারতের তরফে এই সন্ত্রাসবাদীকে কোনওরকম শাস্তি দেওয়া যায়নি। দিল্লি থেকে দীর্ঘদিন ধরেই এই বিষয়ে পাকিস্তানের কাছে অনুরোধ জানানো হচ্ছিল। কিন্তু ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সঠিক বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় হাফিজকে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় বিচারব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হয়নি।
২০১৯ সালের জুলাই মাসে ২৩টি এফআইআর-এর ভিত্তিতে পাক কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ প্রথমবার হাফিজ সঈদকে গ্রেফতার করে। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে অর্থায়ণের দু'টি মামলায় পাক সন্ত্রাসবিরোধী আদালত সইদকে ২০২২ সালের এপ্রিলে ৩৩ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছিল। ওই বছরই হাফিজ সঈদের ছেলে তালহা সঈদকে ইউএপিএ আইনের অধীনে সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করে ভারত সরকার।