পার্লামেন্ট স্ট্রিটে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার নয়াদিল্লির প্রধান শাখার বিশাল কমপ্লেক্সে ইলেকটোরাল বন্ড (EBs) ঠিক কোথায় পাওয়া যায়, তা জানানোর মত কোনও চিহ্ন নেই। খুঁজতে গিয়ে ব্যাংকের কোনও রক্ষীর সাহায্য নিলে, তিনি ভবনটির ছ'তলার দিকে দেখিয়ে দেবেন। সেখানে 'সরকারি ব্যবসা'র কাজ চলে। ছ'তলায়, যেখানে এনআরআই সেকশন আছে, সেখানেও আবার এমন কোনও চিহ্ন নেই, যাতে বোঝা যায় যে সেখানে ইলেকটোরাল বন্ড বিক্রি হয়। তবে জিজ্ঞাসা করলে ব্যাংকের কর্মীরা বন্ড ইস্যুর জন্য অনুমোদিত আধিকারিকদের দেখিয়ে দেবেন।
স্টেট ব্যাংকের নয়াদিল্লির প্রধান শাখা হল, দেশে ব্যাংকের ২৯টি শাখার অন্যতম, যেখান থেকে ইলেকটোরাল বন্ড বিক্রি হয়। পাঁচ বছর আগে, ২০১৮ সালের মার্চে প্রথমবার এই বন্ড বিক্রির জন্য কাউন্টার খুলেছিল স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। তাই এই বছর যখন ব্যাংক জানিয়েছিল যে ১৯ থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ২৫তম ইলেকটোরাল বন্ড বিক্রির প্রক্রিয়া চলবে, তখন আমি ১,০০০ টাকার একটি বন্ড কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যা ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি ঘোষিত মোদী সরকারের নির্বাচনী বন্ড বিক্রির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছিল।
১৫ ফেব্রুয়ারি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এসবিআই তার তথ্যের অধিকার (আরটিআই) আইনের উত্তরে জানিয়েছে, আমার ইলেকটোরাল বন্ড এখনও পর্যন্ত বিক্রি হওয়া ১,০০০ টাকার ৯৭টি বন্ডের অন্যতম। ২০১৮ সালের ১ মার্চ, প্রথম ধাপে বিক্রি হওয়ার পর থেকে মোট ২১,১৭১টি বন্ড বিক্রি হয়েছে। এই সরকারি প্রকল্প বেনামি দাতাদের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোকে ১২,০০৮.৫৯ কোটি টাকারও বেশি অনুদান প্রাপ্তির সুবিধা ইতিমধ্যে দিয়েছে।
আরও পড়ুন- এপ্রিল থেকে হলমার্কের নম্বর ছাড়া সোনার গয়না বিক্রি নিষিদ্ধ, জেনে নিন বিস্তারিত
বিক্রি হওয়া বন্ডের মূল্য সম্পর্কে আরটিআইয়ের উত্তরে বলা হয়েছে যে সবচেয়ে বেশি টাকার যে বন্ড বিক্রি হচ্ছে, তার মূল্য ১ কোটি টাকা। আর, এখনও পর্যন্ত এই সবচেয়ে বেশি মূল্যের বন্ডটিই সর্বাধিক জনপ্রিয়। যেহেতু প্রকল্পটি ক্রেতাদের পরিচয় প্রকাশের অনুমতি দেয় না, তাই যে কেউ ধরে নিতে পারে যে, 'সবচেয়ে জনপ্রিয়' বন্ডটি ধনী ব্যক্তি বা বড় কোম্পানিগুলোই কিনছে।