প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাঁচ দিনের আমেরিকা ও মিশর সফর শেষে রবিবার (২৫ জুন) গভীর রাতে ভারতে ফিরেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর নানা দিক থেকে ঐতিহাসিক ছিল এবং এই সফরে দুই দেশের সঙ্গেই একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পালাম বিমানবন্দরে অবতরণের সময়, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে স্বাগত জানান। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির সব সাংসদরাও। বিমানবন্দরে জেপি নাড্ডা এবং দলের নেতাদের সাথে দেখা করার সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদী সরাসরি নাড্ডাকে প্রশ্ন করেন 'দেশের কী পরিস্থিতি'?
পিটিআই রিপোর্ট অনুসারে, দিল্লির বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি সাংবাদিকদের বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদী নাড্ডা জিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন দেশে কী চলছে। নাড্ডা জি তাকে বলেছিলেন যে (কেন্দ্রীয়) সরকারের ৯ বছরের রিপোর্ট কার্ডের সঙ্গে, দলের নেতারা জনগণের কাছে পৌঁছেছেন এবং দেশ খুশি। বিজেপি সাংসদ প্রবেশ ভার্মা, যিনি প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে এসেছিলেন, বলেছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী দেশে কী ঘটছে এবং দলের জনসাধারণের প্রচার কর্মসূচি কীভাবে চলছে তা জিজ্ঞাসা করেছিলেন। আমরা এই বিষয়ে মোদীকে অবহিত করেছি।
জো বাইডেন এবং জিল বিডেনের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী মোদী ২০ জুন আমেরিকায় তাঁর প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে যান। নিউইয়র্কে, তিনি ২১ জুন নবম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে রাষ্ট্রসংঘেরর সদর দফতরে একটি ঐতিহাসিক ইভেন্টের নেতৃত্ব দেন। এর পরে প্রধানমন্ত্রী মোদী ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছান, বাইডেন নিজে মোদীকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানান। দুই নেতা ২২ জুন একটি ঐতিহাসিক বৈঠ্কে অংশ নেন। এর পর প্রধানমন্ত্রী মোদী মার্কিন কংগ্রেসের একটি যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেন।
এটি ছিল মার্কিন কংগ্রেসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর দ্বিতীয় ভাষণ । বৃহস্পতিবার (২২ জুন), বাইডেন হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন, যেখানে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য এবং কূটনীতিকদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী এবং সেলিব্রিটিরা উপস্থিত ছিলেন। মার্কিন সফরের সময়, প্রতিরক্ষা, মহাকাশ এবং বাণিজ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি বড় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
আমেরিকা সফর শেষ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী ২৪শে জুন শনিবার মিশরের রাজধানী কায়রো পৌঁছোন। প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির আমন্ত্রণে মিশরে তার দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে অংশ নেন মোদী। ১৯৯৭ সালের পর এটিই কোন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জ্বালানি সম্পর্ক এবং দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে প্রধানমন্ত্রী মোদী রবিবার রাষ্ট্রপতি আল-সিসির সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
মিশরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান 'অর্ডার অফ দ্য নাইল' দিয়ে ভূষিত করা হয়। বিদেশে প্রধানমন্ত্রী মোদীর এটি ১৩তম সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান।