বিহার কাস্ট সেন্সাস নিয়ে বড় মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন না হলে বিহার সরকারকে জাতিগত জনগণনার সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা থেকে বিরত করা যাবে না। বড়সড় স্বস্তি পেল নীতীশ সরকার। আদালত বিহারে জাতিগত জনগণনার সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে অস্বীকার করেছে। এর আগে পাটনা হাইকোর্ট বিহার সরকারকে জাতিগত জনগণনা সমীক্ষার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছিল। বিহারে জাতিগত জনগণনার সমীক্ষা ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে বিহার সরকারকে বিহার কাস্ট সেন্সাসের অধীনে সংগৃহীত তথ্য বা ফলাফল প্রকাশ করা থেকে বিরত রাখতে পারে না। শীর্ষ আদালত বলেছে যে রাজ্য সরকার সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন না করে এই সমীক্ষা চালালে আমরা রাজ্যসরকারকে ডেটা প্রকাশ করা থেকে বিরত করতে পারি না। একদল আবেদনকারী পাটনা হাইকোর্টের ১ আগস্টের আদেশকে শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছেন। পাটনা হাইকোর্ট তার আদেশে বিহার সরকারকে জাতিগত জনগণনা সমীক্ষা সম্পূর্ণ করার অনুমতি দিয়েছে।
হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল:
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। একটি এনজিও ছাড়াও হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আরেকটি পিটিশন দায়ের করা হয়। বিহারের নালন্দার বাসিন্দা অখিলেশ কুমারের দায়ের করা পিটিশনে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল যে রাজ্য সরকার জাতিগত জনগণনা সমীক্ষা করার জন্য যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তা সংবিধানের বিধানের বিরুদ্ধে। সংবিধানের বিধান অনুসারে, এই সমীক্ষা করার অধিকার শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের রয়েছে।
গত ১ আগস্ট বিহার সরকারকে সবুজ সংকেত দেয় পাটনা হাইকোর্ট:
বিহারের জাতিগত জনগণনা সমীক্ষা নিয়ে ওঠা প্রশ্নের শুনানি প্রসঙ্গে পাটনা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিনোদ চন্দ্রন এবং বিচারপতি পার্থ সারথির ডিভিশন বেঞ্চ টানা পাঁচ দিন (৩ জুলাই থেকে ৭ জুলাই) আবেদনকারী এবং বিহার সরকারের যুক্তি শুনেছেন। আদালত উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক বিবেচনা করে ১ আগস্ট, পাটনা হাইকোর্ট সিএম নীতীশ কুমারের স্বপ্নের প্রকল্পকে সবুজ সংকেত দেয়। এর পরে, বিহার সরকার অবশিষ্ট এলাকায় গণনার কাজ পুনরায় শুরু করে। বিহার সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, জাতিগত জনগণনা সমীক্ষার কাজ প্রায় শেষ। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা একটি পিটিশনে, পিটিশনকারীদের পক্ষে সমীক্ষা প্রকাশকে গোপনীয়তার অধিকারের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করা হয়েছে। যদিও আবেদনকারীদের পক্ষে আনা এই যুক্তি মানতে চায়নি শীর্ষ আদালত।