ভারতের ২৪ জনেরও বেশি ব্যক্তির উপর নজরদারি চালাতে ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করে হোয়াটসঅ্যাপ। কেন ভারতীয়দেরর গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা হল? হোয়াটসঅ্যাপের থেকে ব্যাখ্যা চায় কেন্দ্র। জবাবও দিয়েছে সংস্থাটি। কিন্তু, সেই ব্যাখ্যায় অসন্তুষ্ট সরকার। গ্রীষ্মে সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে বহুবার বৈঠক হলেও নজরদারি নিয়ে মুখ খোলেননি তারা। তাতেই সরকারের বিরক্তি আরও বেড়েছে বলে সূত্রের খবর। এদিকে হোয়াটস্যাপের দাবি, ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের একাংশের উপর যে নজরদারির চেষ্টা হচ্ছে তা গত মে মাসেই সরকারকে জানিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল।
শুক্রবার হোয়াটসঅ্যাপ দাবি করে, গত মে সাসেই সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ভারত ও আন্তর্জাতিকস্তরে জানানো হয়েছিল। ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছানোরও চেষ্টা করা হয়। কিন্তু, সেই সময় হোয়াটসঅ্যাপ একবারেরও জন্যও জানায়নি ভারতীয়দের গোপনীয়তা খর্ব করা হবে। বিজ্ঞপ্তিটিও বিভ্রান্তিমূলক ছিল। সরকারি তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের উপর চলছে নজরদারি, নিশ্চিত করল হোয়াটসঅ্যাপ
হোয়াটসঅ্য়াপের একটি সূত্র জানাচ্ছে, মে মাসে এটি সুরক্ষা সম্পর্কিত বিষয়ই ছিল। পরে, সিটিজেনশিপ ল্যাব পেগাসাস লিঙ্ক করে তাদের কাজ করেছে। এর আগে হোয়াটসঅ্যাপ-এর এক মুখপাত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে বলেন, “ভারতের কোন কোন ব্যক্তিদের নিশানায় রাখা হয়েছে, তাঁদের পরিচয় এবং নম্বর আমাদের পক্ষে প্রকাশ করা সম্ভব না। তবে হোয়াটসঅ্যাপ সেই সমস্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের সতর্ক করে দিয়েছে।” হোয়াটসঅ্যাপ-এর ওই মুখপাত্র আরও বলেন, “যে সব ভারতীয় সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের উপর নজরদারি চালানো হয়েছে, তাঁদের পরিচয় এবং সঠিক নম্বর প্রকাশ করতে না পারলেও, আমরা এটা বলতে পারি যে এই নম্বরগুলি খুব সাধারণ কারও নয়।”
ভারতের তরফেও জানানো হয়েছিল আইনত হোয়াটসঅ্য়াপ সাইবার সংক্রান্ত সব বিষয় ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমকে জানাতে বাধ্য। পরে, হোয়াটসঅ্য়াপ কর্তপক্ষ জানায়, 'অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়। মে মাসেই সুরক্ষার বিষয়টি সমাধান করতে চেয়ে ভারত ও আন্তর্জাতিক স্তরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় হোয়াটসঅ্য়াপের তরফে। কেন পেগাসাস নামক একটি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের টার্গেট করা হল তার দায় এনএসও গ্রুপ টেকনলজিসের। আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে একমত। সমস্যা জটিল। তবে একত্রে কাজ করে আমরা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে পারি।।'
Read the full story in English