Advertisment

হোয়াটস অ্যাপ করায় বিয়ে ভাঙল কনের!

পাত্রী বেশি হোয়াটস অ্যাপ করেন, তাই তিনি ভাল নন, আর এই কারণেই বিয়ে ভেঙে দিল বরপক্ষ। এমন আজবকাণ্ডই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আমরোহা এলাকায়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
whats app, হোয়াটস অ্যাপ

প্রতীকী ছবি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

হোয়াটস অ্যাপ করায় বিয়ে ভাঙল পাত্রীর! হ্যাঁ, এমন কাণ্ডই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। পাত্রী যদি সারাদিন শুধু হোয়াটস অ্যাপই করে, তবে সংসার করবে কী করে...হয়তো এমন ভাবনা থেকেই বিয়ে ভেঙে দিল বরপক্ষ। পাত্রী বেশি হোয়াটস অ্যাপ করেন, তাই তিনি ভাল নন, এই যুক্তি দেখিয়ে বিয়ে ভেঙে দিল বরপক্ষ। এমন ঘটনা উত্তরপ্রদেশের আমরোহা এলাকায় ঘটেছে বলে সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর।

Advertisment

তবে এসবই বরপক্ষের বাহানা বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ বিয়ের দিন হঠাৎ বিয়ে ভাঙায় উঠছে প্রশ্ন। এমনকি, কনেপক্ষের হাজার অনুনয়ের পর যখন বরের বাড়ির মন কিছুটা হলেও গলল, তখন আবার কনেপক্ষের ঘাড়ে নতুন শর্তের বোঝা চাপিয়েছে বরের বাড়ির লোকেরা। ৬৫ লক্ষ টাকা পণ দিতে হবে, তবেই সাতপাকে ঘুরবে বর-কনে, শেষবেলায় এমনই শর্ত দেয় বরের পাত্রপক্ষের লোকজন।

এ ঘটনা প্রসঙ্গে আমরোহার পুলিশ সুপার বিপিন তাডা জানান যে, গত ৫ সেপ্টেম্বর বিয়ে ছিল। কনে খুব হোয়াটস অ্যাপ করত এই অভিযোগে বরপক্ষ শেষমুহূর্তে বিয়ে ভেঙে দেয়। সংবাদসংস্থা এএনআইকে কনের বাবা উরুজ মেহান্দি বলেন, ‘‘বরযাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। যখন ওঁরা এলেন না, তখন ওঁদের বাড়িতে গেলাম। তখন জানলাম যে, ওঁরা এ বিয়ে দিতে চান না। আমাদের এও বলা হয় যে, আমার মেয়ে বেশি হোয়াটস অ্যাপ করে, তাই ও ভাল নয়।’’

আরও পড়ুন,‘রুদ্ধশ্বাস, কত প্রতীক্ষা’র অবসান, বিয়ে করছেন ওড়িশার রূপান্তরকামী আমলা

কনের বাবা আরও অভিযোগ করেন যে, অনেক অনুরোধ করার পর যখন বরের বাড়ির লোকেরা বিয়েতে রাজি হলেন, তখন তাঁরা প্রচুর টাকার পণ দাবি করেন। ৬৫ লক্ষ টাকার পণ চান বলে অভিযোগ করেছেন কনের বাবা। তিনি বলেন,‘‘পরে অনুরোধ করায়, ওঁরা বিয়েতে রাজি হন কিন্তু ৬৫ লক্ষ টাকা পণ চান।’’

ইতিমধ্যেই কনের বাবা অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা এ নিয়ে পদক্ষেপ করব।’’

Whatsapp uttar pradesh national news
Advertisment