প্রতিদিনের জীবনে খাওয়াদাওয়া যেন দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। রান্নার গ্যাস থেকে শাক সবজির দাম, আর এবার আটা, ক্রমশই চড়ছে দাম। জানুয়ারি ২০১০ থেকে একই দাম ছিল প্রতি কেজি ৩২ টাকা। সূত্র অনুযায়ী, ভারতে গমের উৎপাদন এবং মজুদ কমে যাওয়াই এই মূল্যবৃদ্ধির কারণ।
গত কয়েকদিনে অনেকটা বেড়েছে গমের দাম। আটার চাহিদা সমান থাকলেও এর উৎপাদন এবং মজুদ কমেছে, সঙ্গেই বাইরের দেশে রপ্তানি বেড়ে যাওয়াতেই এই সমস্যা দেখা গিয়েছে। তথ্য অনুযায়ী শনিবারে আটার দাম সবথেকে বেশি ছিল পোর্ট ব্লেয়ারে এবং সবথেকে কম ছিল পুরুলিয়ায়। চারটি মেট্রো সিটির মধ্যে গড় আটার মূল্য সবথেকে বেশি মুম্বইতে, ৪৯ টাকা/ কেজি। তারপর দামের হিসেবে চেন্নাই ৩৪ টাকা/কেজি, কলকাতায় ২৯ টাকা/ কেজি, দিল্লিতে ২৭ টাকা/ কেজি।
নতুন বছর থেকেই ক্রমাগত আটার দাম বাড়ছে। সর্বভারতীয় স্তরেই এই মূল্যবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সূত্র অনুযায়ী ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণেই এই দাম আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতীয় গমের চাহিদা বিদেশের বাজারে ক্রমশই বাড়ছে। এদিকে ডিজেলের দাম বৃদ্ধিও সেই খাতে যুক্ত হয়েছে। গমের আটার পাশাপাশি বেকারি পাউরুটির দামও বেড়েছে। সরকার ২০২১ এবং ২০২২ সালের জন্য ১১০ মিলিয়ন টন গম উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছিল। এইবছরও আগাম উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কৃষি কল্যাণ মন্ত্রক।
কর্মকর্তাদের মতামত অনুযায়ী, ২০২১-২২ সালে উৎপাদন বেশ কিছুটা কমবে। কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিব সুধাংশু পান্ডে জানান, গমের উৎপাদন ১০৫ মিলিয়ন টন হবে বলে আশা করা হয়েছিল। তবে গ্রীষ্মের প্রথমদিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণেও গমের ফলন কমতে পারে এমনটাও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।