Italy PM Giorgia Meloni in CPAC : 'পৃথিবীর সর্বত্র দক্ষিণপন্থী রাজনীতিকদের উত্থানে হতাশ উদারপন্থীরা। দ্বিতীয়বারের জন্য ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরে আসায় কার্যত হতাশ বামপন্থীরা'। এক ভিডিও বার্তায় মোদী-ট্রাম্পের ভুয়সী প্রংশসা করে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বামপন্থীদের সমালোচনায় সুর চড়িয়েছেন।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি শনিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে দেওয়া এক ভাষণে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের প্রশংসা করেন। তিনি আরও দাবি করেন যে ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফিরে আসার কারণে বামপন্থীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে চরম হতাশা। বামপন্থীদের আক্রমণ করে তিনি বলেন যে, ডানপন্থী নেতারা জয়ী হচ্ছেন বলে বামপন্থীরা হতাশ নন বরং আন্তর্জাতিক স্তরে ডানপন্থীরা একসাথে কাজ করছেন দেখে তারা আরও বেশি হতবাক।
মেলোনি আরও বলেন, 'আজ যখন ট্রাম্প, মেলোনি এবং মোদী একই সুরে কথা বলেন, তখন তাঁদের গণতন্ত্রের বিপদ বলে বর্ণনা করা হয়। কিন্তু মানুষ তাদের মিথ্যা আর বিশ্বাস করে না। তারা আমাদের দিকে যতই কাদা ছুঁড়ুক না কেন, জনগণ এখনও আমাদের ভোট দিচ্ছে। আজ ডানপন্থী নেতারা প্রকাশ্যে গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলছেন'।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বিশ্বব্যাপী বামপন্থীদের "ভণ্ডামি"র রাজনীতিকে তীব্র নিশানা করে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলির মতো নেতারা বিশ্বব্যাপী রক্ষণশীল আন্দোলন গড়ে তুলেছেন'।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বের প্রশংসা করে মেলোনি বলেন, "৯০-এর দশকে যখন বিল ক্লিনটন এবং টনি ব্লেয়ার বিশ্বব্যাপী বাম-উদারপন্থী নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন, তখন তাদের 'রাষ্ট্রনায়ক' বলে উল্লেখ করা হত। কিন্তু যখন ট্রাম্প, মেলোনি, মোদী আজ একসাথে দাঁড়ান, তখন তাদের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বলা হয়।"
তিনি দীপ্ত কন্ঠে তাঁর ভাষণে বলেন, "আমরা স্বাধীনতা রক্ষা করি, আমরা আমাদের জাতিকে ভালোবাসি, আমরা নিরাপদ সীমান্তের পক্ষে কথা বলি, আমরা নাগরিক জীবন রক্ষা করি, আমরা আমাদের ধর্ম এবং স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার রক্ষা করি তাই আমাদের লড়াই কঠিন হতে পারে, কিন্তু পছন্দটি স্পষ্ট,"।
মেলোনি আরও বলেন, "শান্তি স্বাধীনতার উপর এবং স্বাধীনতা সাহসের উপর নির্ভর করে। আমরা আগ্রাসন প্রতিহত করে, স্বাধীনতা অর্জন করে এবং একনায়কদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়ে তা প্রমাণ করেছি'। তিনি তাঁর ভাষণে বলেন, সীমান্ত নিরাপত্তা, জ্বালানি, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি নিরাপদ না থাকো, তাহলে আপনি স্বাধীন নন।" তাঁর ভাষণের শেষে, মেলোনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে একটি শক্তিশালী পৃথিবী গড়ে তোলার আহ্বান জানান।