Advertisment

করোনা সংক্রমণে ঝুঁকিপূর্ণ কোন ব্লাড গ্রুপ? কী বলছে গঙ্গারাম হাসপাতালের সমীক্ষা

Covid-19 in India: করোনার প্রথম ঢেউ অর্থাৎ ২০২০ সালে, এপ্রিল-অক্টোবর পর্যন্ত দিল্লি এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রায় আড়াই হাজার করোনা রোগীর মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
corona india daily case report 9 december 2021

প্রতীকী ছবি

Covid-19 in India: যাদের রক্তের গ্রুপ এ (A), বি (B) এবং আরএইচ প্লাস (RH+), তাঁদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। যাদের রক্তের গ্রুপ ও (O), এবি (AB)এবং আরএইচ মাইনাস (RH-), তাঁদের করোনা সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি কম। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এই দাবি করেছে স্যার গঙ্গারাম হাসপাতাল। করোনার প্রথম ঢেউ অর্থাৎ ২০২০ সালে, এপ্রিল-অক্টোবর পর্যন্ত দিল্লি এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রায় আড়াই হাজার করোনা রোগীর মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। নভেম্বর ২১-এ ফ্রন্টিয়ার—সেলুলার অ্যান্ড ইনফেকশন মাইক্রো বায়োলজি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে সেই সমীক্ষা।

Advertisment

এদিকে, বিশ্বজুড়ে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের আতঙ্কের মাঝেই উদ্বেগের খবর চণ্ডীগড়ে। ওমিক্রনের উৎসস্থল দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত যুবক কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। আর সেই খবর চাউর হতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ চণ্ডীগড় প্রশাসনের। দ্রুত টেস্টিং এবং টিকাকরণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করেছে প্রশাসন।

জানা গিয়েছে, ৩৯ বছরের যুবক চণ্ডীগড়ের সেক্টর ৩৬-এর বাসিন্দা। গত ২১ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেছেন তিনি। এয়ারপোর্টে তাঁর টেস্ট রিপোর্ট ছিল নেগেটিভ। প্রটোকল অনুযায়ী, তাঁকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়। সোমবার তাঁর ফের টেস্ট করা হয়। এবার দেখা যায়, তিনি কোভিড পজিটিভ। এমনটাই জানিয়েছেন চণ্ডীগড়ের স্বাস্থ্য দফতর।

শুধু তিনিই নন, তাঁর পরিবারের এক সদস্য এবং পরিচারিকাও কোভিড পজিটিভ। বাকি দুই সদস্য কোভিড নেগেটিভ। আরেক জনের রিপোর্ট এখনও পাওয়া বাকি আছে। প্রটোকল অনুযায়ী, হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে আক্রান্ত যুবককে। স্বাস্থ্য পরিষেবা অধিকর্তা ডা. সুমন সিং জানিয়েছেন, পজিটিভ কেসের নমুনাগুলি দিল্লির এনসিডিসি-তে পাঠানো হয়েছে জেনোম সিকোয়েন্সের জন্য। তাহলেই করোনার প্রজাতি শনাক্ত করা যাবে।

ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্ক-উদ্বেগ বিশ্বজুড়ে। ভারতও করোনাভাইরাসের নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক। তবে এই আতঙ্কের মাঝেও মঙ্গলবারের করোনা পরিসংখ্যান বড়সড় স্বস্তি দিচ্ছে। একধাক্কায় ৭ হাজারের নীচে নেমে গেল দৈনিক সংক্রমণ। এরই পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও নেমে গিয়েছে দু’শোর নীচে। সব মিলিয়ে ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেও দেশের দৈনিক করোনা পরিসংখ্যান স্বস্তি দিচ্ছে।

মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ৬ হাজার ৯৯০ জন। একদিনে দেশে করোনার বলি ১৯০। গতকালের চেয়ে এদিন অনেকটাই কমেছে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ১১৬ জন।

সব মিলিয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশে করোনামুক্ত হলেন ৩ কোটি ৪০ লক্ষ ১৮ হাজার ২৯৯। সুস্থতার হার ৯৮.৩৫ শতাংশ। এদিন আরও কমেছে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে এই মুহূর্তে দেশে করোনা অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৪৩। গত ৫৪৬ দিনের মধ্যে অ্যাক্টিভ কেসের এই পরিসংখ্যান সর্বনিম্ন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Delhi Hospital Blood Group Corona Infection
Advertisment