Advertisment

মার্কিন বিদেশ সচিবের ভারত সফরে মানবাধিকার-গণতন্ত্র চর্চা! বিবৃতি জারি হোয়াইট হাউজের

US Secretary of State’s India Visit: ২৭ জুলাই দিল্লি নামছেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তাঁর এই সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাতের সূচি আছে মার্কিন বিদেশ সচিবের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
US Reports on Human rights, New Delhi, India, US department of State

প্রতীকী ছবি।

US Secretary of State’s India Visit: মার্কিন বিদেশ সচিবের প্রথম ভারত সফরে আলোচনার কেন্দ্রে মানবাধিকার এবং গণতন্ত্র ইস্যু। শনিবার হোয়াইট হাউজ সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। ২৭ জুলাই দিল্লি নামছেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তাঁর এই সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাতের সূচি আছে মার্কিন বিদেশ সচিবের। পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি। এমনটাই বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর। ইউএস সহ-বিদেশ সচিব ডিন থম্পসন বলেন, ‘ইউএস এবং ইন্ডিয়া মানবাধিকার-গনতন্ত্র রক্ষায় অগ্রণী ভাবে কাজ করে।তাই ভারতীয় আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে আমরা এই দুটি বিষয়ে সরব হব।‘ ব্লিঙ্কেনের ভারত সফর প্রশ্নে সাংবাদিকদের প্রশ্নের এভাবেই জবাব দেন থম্পসন।

Advertisment

এই মার্কিন আমলা আরও বলেন, ‘আমি মনে করি ইন্দো-মার্কিন সম্পর্ক উচ্চমার্গের। আগামি দিনেও আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ শরিক হিসেবেই থাকবে ভারত। তাঁর মন্তব্য, ‘আমাদের বিশ্বাস ইন্দো-মার্কিন সম্পর্ককে আরও শক্ত ভিত দিতে ভারত এই দুই বিষয়ের (মানবাধিকার-গণতন্ত্র) সংরক্ষণে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে।‘  সম্প্রতি মোদী সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নাগরিক স্বাধীনতা হননের একাধিক অভিযোগ উঠেছে। বিদেশ মন্ত্রক বরাবর এই বিষয়গুলো ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলে বিবৃতি দিয়েছে। খারিজ করেছে বিদেশী সরকার ও মানবাধিকার গোষ্ঠীর অভিযোগ।

সেই অভিযোগের পাল্টা বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রক দাবি করেছে, ভারতে গণতন্ত্র বিপুলভাবে বিদ্যমান এবং অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো গনতন্ত্র মেনে কাজ করে।এমনকি, মানবাধিকার রক্ষার একাধিক কবচ সংবিধানে উল্লেখ। সেই রক্ষাকবচ মেনেই কাজ করে ভারত সরকার।

এদিকে, ব্লিঙ্কেনের ভারত সফরে আফগান ইস্যুতেও আলোচনা হতে পারে। এমনটাই সাউথ ব্লক সূত্রে খবর। সেই দেশ থেকে আমেরিকা সেনা প্রত্যাহারের জেরে যেভাবে ক্ষমতার হাত বদল হচ্ছে, তাতে প্রভাবিত হবে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি। এভাবেই ব্লিঙ্কেনের সামনে সরব হবেন ভারতীয় আমলারা। ইতিমধ্যে কাবুল থেকে ভারতীয় কূটনীতিকদের দেশে ফিরিয়েছে মোদী সরকার। অপরদিকে তালিবান দাবি করেছে, তারা আফগানিস্থানের প্রায় ৮০% প্রদেশ কব্জা করেছে। যদিও সে দেশের শহুরে এলাকায় এখনও দাগ কাটতেই পারেনি এই মৌলবাদী সংগঠন। এমনটাই নয়াদিল্লিকে আশ্বস্ত করেছে কাবুল।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Indo-US White House India visit Secretary of State
Advertisment