বিশ্বে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ছোঁবে, এ সতর্কতা কিছুদিন আগেই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। সেই প্রেক্ষাপটে যতশীঘ্র সম্ভব করোনা ভ্যাকসিন আনতে চাইছে হু। এই মুহুর্তে 'কোভ্যাক্স' (করোনা ভ্যাকসিন)-কে সব দেশের হাতে তুলে দেওয়াটাই তাঁদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। ভ্যাকসিন তৈরির জন্য ১৮.১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করাটাও সহজ নয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে, শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন হু-র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন।
ইতিমধ্যেই বিশ্বে মোট ২০০টি ভ্যাকসিন প্রয়োগ হয়েছে। প্রতিটি ভ্যাকসিন এক এক পর্যায়ে রয়েছে। এদের মধ্যে ১৫টি ভ্যাকসিনকে মানব দেহে ট্রায়ালও করা হয়েছে। সৌম্যা স্বামীনাথন বলেন যে তিনি আশা করছেন আগামী ১২ থেকে ১৮ মাসের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে এই করোনা ভ্যাকসিন।
শুক্রবার একটি ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে হু-র প্রধান বিজ্ঞানী বলেন, উচ্চ রোজগার এবং উচ্চ মধ্য রোজগারের দেশগুলিতে কোভ্যাক্স পদ্ধতির মাধ্যমে প্রায় ৯৫০ মিলিয়ন ডোজের প্রয়োজন এবং তা যতদ্রুত সম্ভব। তিনি এও জানান এই মুহুর্তে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন তৈরির সময়ের নিরিখে এগিয়ে আছে।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সৌম্যা স্বামীনাথন বলেন যে, "তারা ইতিমধ্যেই অ্যাডভানস ফেজ-২ ট্রায়াল শেষ করেছে। অনেক দেশে পেজ-৩-এর কাজ শুরু করার পরিকল্পনাও করেছে। মডার্নাও তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের পেজ-৩ পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করবে জুলাইয়ের মাঝামাঝি। এখন এই ক্লিনিকাল ট্রায়ালে রোগীদের কতটা উন্নতি হচ্ছে এবং সুরক্ষা বজায় থাকছে কি না তা এখনও অজানা আমাদের কাছে। আমাদের উচিত ক্লিনিকাল ট্রায়ালে যতবেশি সম্ভব বিনিয়োগ করা এবং সাফল্যর হার বৃদ্ধি করা।"
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন