উপত্যকায় বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করার পর জামাত এ ইসলামির তরফ থেকে বলা হয়েছে, এ ঘটনা এলাকায় আরও অনিশ্চয়তার বাতাবরণ তৈরির জন্য সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। সরকারের তরফ থেকে জামাত এ ইসলামি নেতাদের আটক করার কোনও কারণ দর্শানো হয়নি।
আরও পড়ুন, জম্মু-কাশ্মীরে আটক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিক
সংগঠনের মুখপাত্র বলেছেন, ”এখানকার বিশেষ অবস্থানের বিষয়টি যখন সুপ্রিম কোর্টের বিবেচনাধীন, তখন এ ধরনের ঘটনা সন্দেহ জোগায়। কয়েক দিনের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে সংবিধানের ৩৫এ ধারানুসারে জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার বিষয়টি নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা। তার আগে নিরাপত্তা বাহিনী যেভাবে গণহারে গ্রেফতারি করছে এবং জামাতের বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করা হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে পর্দার আড়ালে কিছু ঘটে চলেছে।”
এ ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন মেহবুবা মুফতি, সাজাদ লোন এবং মিরওয়াইজ উমর ফারুকের মতন নেতা-নেত্রীর। দুদিন পর সুপ্রিম কোর্টে সংবিধানের ৩৫এ ধারাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে করা আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা।
দেশভাগের আগে, ১৯৪২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জামাত-এ-ইসলামি। এটি একটি সামাজিক-ধর্মীয় রাজনৈতিক সংগঠন। জম্মু-কাশ্মীরে এদের জনভিত্তি প্রবল। জামাত-এ ইসলামি হিন্দের থেকে এরা পৃথক এবং অনেকটাই পাকিস্তানপন্থী। ১৯৯০ সালের আগে এরা জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচনী রাজনীতির অঙ্গ ছিল।
জামাত এ ইসলামি মনে করে জম্মু-কাশ্মীর বিতর্কিত রাজ্য এবং এ সমস্যার সমাধানে তারা আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রয়োগ করার পক্ষপাতী। উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপের সময়ে এলাকার সবচেয়ে বড় জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন দাবি করেছিল যে তারা জামাতের সশস্ত্র শাখা।
সরকার মনে করে, উপত্যকায় উগ্রপন্থা বাড়ার অন্যতম কারণ জামাত মতাদর্শ।