এখানেই শেষ নয়। কোভিড-১৯-এর অন্য আরও একটি রূপ উদ্বেগের বড়সড় কারণ হয়ে উঠতে পারে। খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এব্যাপারে সতর্ক করেছে। করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা আগের চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে বলেও আশঙ্কা WHO-র বিজ্ঞানীদের। বিশ্ব স্বাস্থ্য বা WHO-এর কোভিড-১৯ টেকনিক্যাল প্রধান মারিয়া ভান কারকোভে জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই মুহূর্তে ওমিক্রনের চারটি ভাগ নিয়ে পরীক্ষা করছে। তিনি বলেন, ''এই মুহূর্তে ওমিক্রনই সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের। তবে উদ্বেগের এখানেই শেষ নয়। এর পরেও আরও একটি ভ্যারিয়েন্ট আসবে বলে আমরা মনে করছি।''
গোটা বিশ্ব করোনার গ্রাসে। তবে সংক্রমণ পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। একাধিক দেশ স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পিরতে শুরু করেছে। পিছিয়ে নেই ভারতও। সংক্রমণের তৃতীয় ধাক্কা সামলে ফের গতিময় দেশ। রাজ্যে-রাজ্যে উঠছে বিধি-নিষেধ। খুলছে স্কুল, কলেজ-সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান।
তবে সংক্রমণ কমলেও এখনই কোভিড বিধিতে পুরোপুরি রাশ টানা চলবে না। এখনও বেশ কিছুদিন স্বাস্থ্য বিধি মেনেই স্বাভাবিক কাজকর্ম চালানোর চেষ্টা জরুরি। বারবার এবিষয়ে সতর্ক করে চলেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ওমিক্রনই শেষ নয়। করোনার আরও নতুন ভ্যারিয়েন্ট আবারও বিশ্ববাসীর জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন- সংক্রমণ নিন্মমুখী, আগামী সপ্তাহ থেকেই ওড়িশায় খুলছে কিন্ডারগার্টেন স্কুল
দেশে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জারি টিকাকরণ কর্মসূচি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ড্যভিয়া জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই দেশের ১ কোটিরও বেশি ১৫-১৮ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরী করোনা টিকার দুটি ডোজই নিয়েছে। অন্যদিকে, দেশের দৈনিক সংক্রমণও নিম্নমুখী। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭ হাজার ৮৪ জন। একদিনে দেশে করোনার বলি আরও ১২৪১। গতকালের চেয়ে এদিন স্বস্তি অ্যাক্টিভ কেসেও। এই মুহূর্তে দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে ৭ লক্ষ ৯০ হাজার ৭৮৯।
রাজ্যে-রাজ্যে জোরদার তৎপরতার সঙ্গে এগোচ্ছে শিশুদের টিকাকরণ কর্মসূচি। তামিলনাড়ু স্বাস্থ্য দফতর জনিয়েছে, ১৮ বছরের বেশি বয়সী রাজ্যের ৮৭ শতাংশ বাসিন্দার শরীরে করোনার বিরুদ্ধে লড়ইয়ের জন্য অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে।
Read story in English