করোনা চিকিৎসায় রেমডেসিভির ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা WHO-র

কোভিডকে কেন্দ্র করে চার দিকে যখন ত্রাহি ত্রাহি রব, তখন এই রেমডেসিভি-র সাড়া ফেলেছিল গোটা বিশ্বে।

কোভিডকে কেন্দ্র করে চার দিকে যখন ত্রাহি ত্রাহি রব, তখন এই রেমডেসিভি-র সাড়া ফেলেছিল গোটা বিশ্বে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

রেমডেসিভির প্রয়োগের ফলে করোনায় মৃত্যুর হার কমেছে বা রোগীদের ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন কমেছে বলে কোনও প্রামাণ্য তথ্য মেলেনি। ফলে করোনার চিকিৎসার জন্য রোগীদের রেমডেসিভির দেওয়া যাবে না। জানিয়ে দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ সৌম্য স্বামীনাথন জানিয়েছেন, কোভিড চিকিৎসার ওষুধের তালিকা থেকে 'রেমডেসিভির'কে বাদ দেওয়া হয়েছে।

Advertisment

হু-য়ের মুখপাত্র তারিক জাসেরেভিক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ই-মেইল মারফত জানিয়েছেন, কোভিড চিকিৎসার জন্য যেসব ওধুধ রয়েছে তার মধ্যে থেকে 'রেমডেসিভির'কে বাদ দেওয়া হয়েছে। হু এই ওষুধকে মান্যতা দেয় না।

করোনার চিকিৎসায় রেমডেসিভির কার্যকরী- প্রাথমিক ট্রায়ালের পর এমনটাই দাবি ছিল গিলেড। কোভিডকে কেন্দ্র করে চার দিকে যখন ত্রাহি ত্রাহি রব, তখন এই রেমডেসিভি-র সাড়া ফেলেছিল গোটা বিশ্বে। তবে এই ওষুধ ব্যবহার নিয়ে গোড়া থেকেই নানা বিতর্ক ছিল।

শুক্রবার হু-য়ের গাইডলাইন ডেভালপমেন্ট গ্রুপ প্যানেল অফ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপার্ট জানিয়েছে, রেমডেসিভির প্রয়োগের ফলে করোনায় মৃত্যুর হার কমেছে বা রোগীদের ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন হচ্ছে না এমন কোনও প্রমাণ নেই। ফলে করোনার চিকিৎসার জন্য রোগীদের রেমডেসিভির দেওয়া যাবে না।

Advertisment

উল্লেখ্য, বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশের ১১ হাজার ২৬৬ জন রোগীর উপর সমীক্ষা চালানোর পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে হু।

এর আগে অবশ্য মার্কিন গবেষকরা দাবি করেছিলেন যে, অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভির মানব শরীরে নোভেল করোনা ভাইরাসের বংশবৃদ্ধি রুখতে সাহায্য করছে। চিকিৎসকদের একাংশের দাবি ছিল, এই ওষুধ রোগীর ফুসফুসে সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করে। ফলে, করোনা রোগীদের মৃত্যুর হার কমে। এরপর বিশ্বজুড়ে অনেক জায়গাতেই এই অ্যান্টি–ভাইরাল ড্রাগটি ব্যবহার করা হচ্ছিল।

এমনকী এই ওষুধ বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিকিৎসাতেও ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে এবার ‘‌হু’‌ জানিয়ে দিল আর এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না।‌

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

WHO corona